Arms Recover: বাড়িতে অস্ত্রসম্ভার; ধৃতরা তৃণমূল না আইএসএফ? তরজা তুঙ্গে

Bhangar: স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার শামসুর তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে একটি কার্তুজের ছবি দেয়। হাতে ধরা সেই কার্তুজ।

Arms Recover: বাড়িতে অস্ত্রসম্ভার; ধৃতরা তৃণমূল না আইএসএফ? তরজা তুঙ্গে
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 6:19 PM

ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিপুল বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল কাশীপুর থানা এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে কাশীপুর (Kashipur) থানার পুলিশ নাটাপুকুর এলাকায় একটি বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৫টি সকেট বোমা, একটি বন্দুক, একটি কার্তুজ, ১৪-১৫ কেজি বারুদ, বোমা তৈরির প্রচুর সামগ্রী এবং যন্ত্রাংশ। এই ঘটনায় নবিরুল মোল্লা ও শামসুর রহমান নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁদের বারুইপুর আদালতে তোলা হলে নবিরুলের সাতদিনের পুলিশি হেফাজত ও সামসুর রহমানের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর। এদিকে এই বিপুল অস্ত্রসম্ভার উদ্ধার ঘিরে ভাঙড়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ধৃতরা আইএসএফ কর্মী বলে দাবি শাসকদলের। পাল্টা আইএসএফের দাবি, গ্রেফতার বাবা ছেলের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার শামসুর তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে একটি কার্তুজের ছবি দেয়। হাতে ধরা সেই কার্তুজ। সেই ছবির খবর ক্রমেই ছড়াতে শুরু করে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দিয়ে ওই যুবক দেখাতে চেয়েছিলেন, তাঁর ঘরে কত অস্ত্র মজুত রয়েছে। খবর পৌঁছয় থানায়। এরপরই পুলিশ হানা দেয়। ধৃতদের বাড়ি কার্যত অস্ত্র কারখানা বলেও অভিযোগ ওঠে। সিঁড়ির নীচের ঘর থেকে ছাদের ঘর বা বাড়ির বিভিন্ন ঘরে বোমা তৈরির নানা সামগ্রী মিলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও শাসসুরের পরিবারের লোকজনের দাবি, বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজকর্ম হয়। নবিরুল মোল্লা সেই কাজ করেন। এসব করে নবিরুলদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ধৃতরা তৃণমূলের বলে দাবি এলাকার একাংশের। যদিও একাংশের দাবি তাঁরা আইএসএফ সমর্থক। এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, “এর আগে একাধিকবার প্রমাণ হয়েছে আইএসএফ কর্মী বা নেতৃত্বের বাড়ি থেকে বোমা, বন্দুক পুলিশ উদ্ধার করেছে। এখন বিধায়ক নিজের দোষ ঢাকতে, তৃণমূলকে হেয় করতে কিছু বললে তো আর সেটা মান্যতা পাবে না।” ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, “এই নবিরুল সম্পর্কে আগে আমাদের লোকজনই থানায় জানিয়েছিল। এরপর আইএসএফ কর্মী ও এলাকার লোকজনকে হুমকিও দিয়েছেন। পুলিশ গ্রেফতার করেছে খুব ভাল। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে দেখুক এই বোমা, বোমার মশলা কোথা থেকে আসল। এগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। আমার মনে হয় তাতে অনেক রাঘব বোয়ালের নামও বেরিয়ে আসবে।”