Bhangar Bombing: শেষবেলাতেও ‘বোমা বৃষ্টি’ গরম ভাঙড়ে, ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা, এখনও ‘অপেক্ষায়’ অ্যাডিশনাল এসপি

Bhangar: ভাঙড় এই মুহূর্তে যেন দুষ্কৃতীর মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। অনবরত বোমাবাজি চলছে, শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ।

Bhangar Bombing: শেষবেলাতেও ‘বোমা বৃষ্টি’ গরম ভাঙড়ে, ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা, এখনও ‘অপেক্ষায়’ অ্যাডিশনাল এসপি
উত্তপ্ত ভাঙড়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2023 | 4:10 PM

ভাঙড়: মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনেও ভয়ঙ্কর ছবি ভাঙড়ে। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি বৃহস্পতিবারও। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে পুলিশ। অশান্তি থামছেই না ভাঙড়ে। ভাঙড়-২-এ বিডিও অফিস চত্বরে তুমুল বোমাবাজি শুরু হয় এদিন দুপুরে। চারপাশ ধোঁয়ায় ঢাকা। একদল লাঠি হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকায়। ভাঙচুর চলছে, চলছে বোমাবাজি। এদিন দুপুরে বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। অভিযোগ, একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন, অন্যদিকে চালতাবেড়িয়া ও নিমগড়িয়া আসা আইএসএফের লোকজন এসে এই ঝামেলা পাকায়। দুই পক্ষই লাগাতার বোমাবাজি করতে থাকে বলে অভিযোগ। বাহিনী নিয়ে অ্যাডিশনাল এসপি ঘটনাস্থলে থাকলেও বড়সড় ‘অ্যাকশন’-এর ছবি এখনও পুলিশের তরফে দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ।

অ্যাডিশনাল এসপি মাকসুদ হাসানের বক্তব্য, “আমরা অনেক বড় ফোর্স নিয়ে আছি। দুষ্কৃতীরা কোথায় আছে সেটা তো আমরা দেখতে পারছি না। আমরা যদি যাই পুলিশ বিপদে পড়ে যাবে। সেই জন্য আমরা অপেক্ষায়।” অর্থাৎ পরিস্থিতি বুঝে পুলিশ এগোতে চাইছে। কিন্তু এমনও অভিযোগ, যে পরিমাণ তৃণমূল ও আইএসএফের লোক সেখানে রয়েছে, সেই তুলনায় পুলিশের সংখ্যা একেবারেই নগন্য। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কার্যত অসহায় বলেই দাবি করছেন এলাকার লোকজন। বিজয়গঞ্জ বাজারের মুখেই তাই দাঁড়িয়ে পুলিশ।

ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, “প্রথম দিন থেকেই মনোনয়ন দাখিল ঘিরে গোলমাল চলছে। আমি আজ বলেই দিয়েছিলাম বেশি লোকজন যেতে হবে না। যে ক’জনের মনোনয়ন দাখিল বাকি, তাঁরা প্রস্তাবককে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তা জমা দিয়ে আসুক। সঙ্গে কয়েকজন গেলে তাঁরা নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যেই যেন থাকেন। নিমকুড়িয়া হয়ে আজ আমাদের প্রার্থীরা যাওয়ার সময় এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। জানি না কী পরিস্থিতি এখন। সমানে আমাকে ফোন করছে। বলছে চারদিক থেকে ঘিরে গুলি চালাচ্ছে। প্রশাসনের কোনও সদর্থক ভূমিকাই নেই।”

আদালত এদিনই নির্দেশ দিয়েছে, যে সব প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে বিডিও অফিসে নিয়ে যাবে। যদিও নওশাদ বলছেন, “নিমকুড়িয়াতে প্রথমে দু’ গাড়ি পুলিশ আসে। পরে প্রশাসন বলছে তাদের হাতে অর্ডার কপি এসে পৌঁছয়নি। তারা নিয়ে যেতে পারবে না।” অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে জানান তিনি।