Canning: রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতার বাইক থামাল জনা ২৫, এরপরই শুরু বেধড়ক মার

TMC: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহসিম মোল্লা-সহ মোট তিনজন বাইকে চেপে হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েত মোড় থেকে পোলের মোড়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন।

Canning: রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতার বাইক থামাল জনা ২৫, এরপরই শুরু বেধড়ক মার
হাসপাতালে তৃণমূল নেতা মহসিম মোল্লা ও তাঁর দুই সঙ্গী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 9:29 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে যুব তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে ক্যানিংয়ের (Canning) হাটপুকুর এলাকা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের (TMC) স্থানীয় বুথ সভাপতি মহসিম মোল্লা। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’ তিনজন। অভিযোগ, প্রায় ২৫ জন মিলে ঘিরে ধরে মহসিম ও তাঁর সঙ্গীদের। এরপরই বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মহসিম ছাড়াও জখম হন রিয়াজুল মোল্লা, ইক্তার মোল্লা নামে আরও দু’জন। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহসিম মোল্লা-সহ মোট তিনজন বাইকে চেপে হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েত মোড় থেকে পোলের মোড়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। হঠাৎই ২৫ জনের মতো ছেলেপুলে তাঁদের ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। বাইক থামিয়ে লাঠি, লোহার রড নিয়ে তিনজনের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। মহসিম, ইক্তারদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তুমুল চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে পালান অভিযুক্তরা। স্থানীয়রাই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় আহতদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ।

মহসিম মোল্লা বলেন, “কিছুই কিছু না। আমি কাজ সেরে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম। একদল ছেলে, ওরা সিরাজ গ্রামে থাকে, আমাকে ঘিরে ধরে। আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল ওরা। আমি বুথ সভাপতি হওয়ায় ওদের রাগ। তাই জন্য বোধহয় আমাকে মারতে চেয়েছিল।” যদিও এ নিয়ে পুলিশের কাছে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনীতির আঁচে এলাকা তপ্ত রাখতে প্রায় প্রায়ই এই ধরনের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রশাসনকে কড়া হাতে এইসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে।