Fishing Trawler: উঠল নিষেধাজ্ঞা, একাধিক নিয়ম মেনে ইলিশের খোঁজে গভীর সমুদ্রে নামবে ট্রলার

West Bengal: গত কয়েক বছর গভীর সমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, রায়দিঘি ও সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সতর্ক ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কড়া নজরদারি শুরু করে জেলা মৎস্য দফতর।

Fishing Trawler: উঠল নিষেধাজ্ঞা, একাধিক নিয়ম মেনে ইলিশের খোঁজে গভীর সমুদ্রে নামবে ট্রলার
মধ্যরাত থেকে ইলিশের খোঁজে নামবে ট্রলার (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 1:51 PM

সুন্দরবন: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল অনেকদিন ধরেই। তবে মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে উঠে যাবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। গত বছরের আর্থিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে রুপোলি শস্যের খোঁজে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় সুন্দরবনের হাজার হাজার মৎসজীবী। মঙ্গলবার দিনভর সুন্দরবনের ঘাটগুলিতে প্রস্তুতি চলেছে পুরোদমে। ঘাটে-ঘাটে ও ট্রলারে-ট্রলারে চলছে গঙ্গা পুজো।

গত কয়েক বছর গভীর সমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, রায়দিঘি ও সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সতর্ক ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কড়া নজরদারি শুরু করে জেলা মৎস্য দফতর। এ দিন, দিনভর সুন্দরবনের ঘাটগুলিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রলার পরিদর্শনের পাশাপাশি ট্রলারের মাঝি ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত প্রধান সহ মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, ছোট-বড় সব মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রায় চার হাজার ট্রলারের মধ্যে অর্ধেক ট্রলার মরশুমের শুরুতে সমুদ্রে পাড়ি দেবে। গত কয়েক বছরে ইলিশ শিকারে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে এবার প্রথম টিপে দেখা হবে ইলিশ শিকারের পরিমাণ। আর তা দেখেই বাকি অর্ধেক ট্রলার সমুদ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রলার মালিকেরা। প্রত্যেকটি ট্রলারে থাকবেন ১৫ জন। তার বেশি মৎসজীবী থাকলে করা হবে কঠোর পদক্ষেপ। এমনটাই জানিয়েছে মৎস্য দফতর।

গত কয়েক বছর ধরে ট্রলার ডুবে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেই বিষয় মাথায় রেখে এবার মরশুমের শুরুতে গভীর সমুদ্রে যাওয়া প্রত্যেকটি ট্রলারে বিপদ সংকেত প্রেরক যন্ত্র (ড্যাট) রাখা বাধ্যতামূলক করেছে মৎস্য দফতর। পাশাপাশি প্রত্যেকটি ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জেলার সহ মৎস্য আধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত প্রধান জানান, ‘বুধবার ভোর রাত থেকে ধাপে-ধাপে মৎস্যজীবী ট্রলার সমুদ্রে রওনা দেবে। কড়া নজরদারির মধ্যে ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হচ্ছে।’