Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Minor Girl Picture Viral: মোবাইল ফোন খুলতেই স্ক্রিনে ভেসে উঠল নিজের ‘নোংরা’ ছবি, লজ্জা-হতাশায় ডুবছে কিশোরীর পরিবার

South 24 Parganas: ওই ছাত্রীর অভিযোগ, বন্ধুর ছবি থাকায় সোশাল মিডিয়ার ওই প্রোফাইল থেকে বন্ধুত্বের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিল সে। এরপরই মেসেঞ্জারে শুরু হয় নানা রকমের কথা।

Minor Girl Picture Viral: মোবাইল ফোন খুলতেই স্ক্রিনে ভেসে উঠল নিজের 'নোংরা' ছবি, লজ্জা-হতাশায় ডুবছে কিশোরীর পরিবার
কিশোরীর ছবি ভাইরাল। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2022 | 6:17 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘বন্ধু’র প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এসেছিল। তা অ্যাকসেপ্ট করতেই চোখ কপালে উঠল এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। অভিযোগ, বন্ধুর প্রোফাইল থেকে ছবি চুরি করে তা দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রোফাইল খোলে এক কিশোর। এরপরই ছাত্রীর ছবিকে এডিট করে অশালীন ও কুরুচিকর করে তোলে সে। এমনকী সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয় তা। ভয়ে, লজ্জায় গুটিয়ে যায় ওই কিশোরী। উচ্চমাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষা, তার আগে এমন মানসিক উদ্বেগে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও মাথায় আসে। বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ। তবে ১৮ বছর পার না হওয়ায় তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হয়, পাঠানো হয় হোমে। এই ঘটনা মন-মাথা থেকে মুছতে পারছে না ওই কিশোরী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, বন্ধুর ছবি থাকায় সোশাল মিডিয়ার ওই প্রোফাইল থেকে বন্ধুত্বের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিল সে। এরপরই মেসেঞ্জারে শুরু হয় নানা রকমের কথা। কিশোর সেখানেই বেশ কয়েকটি ছবির স্ক্রিনশট পাঠায়। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত না হলে এডিট করা বেশ কিছু ছবি ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এরপরই রায়দিঘি থানা ও সুন্দরবন সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয় ওই কিশোরী। এরপরই ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত।

অভিযোগকারীর কথায়, “পরীক্ষার একদিন আগে আমার এক বন্ধুর প্রোফাইল থেকে ছবি নিয়ে বন্ধুর নামেই ভুয়ো প্রোফাইল খোলে ছেলেটা। আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। আমি বন্ধুর ছবি দেখেই অ্যাকসেপ্ট করি। এরপরই মেসেঞ্জারে কতগুলো ছবির স্ক্রিনশট পাঠিয়ে বলে এডিট করে ভাইরাল করে দেবে। বলে, অন্তরঙ্গ হলে এরকম কিছু করবে না। আমি রাজি না হতেই ওই ছবি ওর স্টেটাসে দেয়। নোংরা ছবি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। পরে আমি জানতে পারি শুধু আমার সঙ্গে নয়, আরও অনেক মেয়ের সঙ্গেই ও এটা করেছে। প্রথমে ভয় পেলেও পরে আমি থানায় জানানোর কথা বলি। ২ এপ্রিল আমার বন্ধুরাই থানায় যায়। ৩ তারিখ সাইবার ক্রাইমে যাই। এরপর ওকে ১৩ তারিখ ধরা হয়।”

কিশোরীর অভিযোগ, “আমি এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম পরীক্ষা দেব কী করে সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আমার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। দু’টো পরীক্ষা কোনওরকমে দিয়েছি। এখনও চারটে বাকি। আমি খেতে পড়তে পারছি না। আমার শরীরে বিভিন্ন অংশ অশালীন করে নিজের স্টেটাসে দিয়েছে ছেলেটা। আমি ভয়ে লজ্জায় কেঁদে ফেলেছিলাম। মা, বাবা জানার পর ওরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি চাই ছেলেটা শাস্তি পাক।”

এই ঘটনার পর বহুবার পুলিশ এসেছে ওই কিশোরীর বাড়িতে। পাড়ার লোকজন যে বিষয়টি মোটেই ভালভাবে নেননি তাও বুঝেছে ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে। তার প্রশ্ন, “আমার তো দোষ নয়। তবু কেন সবাই এমন ভাবছে?” ওই কিশোরীর দিদির কথায়, “ফেসবুকে বোনের এই ছবি নিয়ে এভাবে নোংরাভাবে এডিট করে ছড়িয়ে দেবে এখনও ভাবতেই পারছি না। আমরা তো খুবই চিন্তায়। ওর তো একটা ভবিষ্যৎ আছে। আমাদের সমাজে তো কিছু হলেই আগে মেয়েটাকে দোষারোপ করা হয়। মা বাবাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।”

আরও পড়ুন: Vandalism at Polba: বাড়িতে টিভি দেখতে পারছিলেন না, তা বলে কেবল অপারেটরের উপর এমন ‘প্রতিশোধ’…