Private Hospital of Maheshtala: টাকা নেব, কিন্তু বিল দেব না! স্বাস্থ্যসাথীর রোগীর উপর জুলুমবাজির অভিযোগ মহেশতলার বেসরকারি হাসপাতালে
Swastha Sathi Card: রোগীর স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড রয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রথমে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয় হাসপাতালে। পরে আরও প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। কিন্তু এই টাকার কোনও প্রকার রশিদ দিতে রাজি নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা : ফের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহেশতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। রোগীর স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড রয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রথমে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয় হাসপাতালে। পরে আরও প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। কিন্তু এই টাকার কোনও প্রকার রশিদ দিতে রাজি নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই মারাত্মক অভিযোগ তুলছেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতালের দাবিমতো অর্থ দিতে রাজি হলেও তার কোনও প্রকার রশিদ দিতে চাইছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, যতক্ষণ না টাকা জমা দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হবে না রোগীকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাকি এমনটাই জানিয়েছে রোগীর পরিজনদের। হাসপাতাল কর্তপক্ষের এমন দাবির পর রোগীর পরিজনরা জমা দিতে রাজিও হন। কিন্তু তারপরেও সমস্যা। জমা করা সেই অর্থের বিল চাইলে তা দিতে রাজি হয় না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় মহেশতলার ওই বেসরকারি হাসপাতালে। খবর পেয়ে ইতিমধ্য়েই হাসপাতালে পৌঁছেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
রোগীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, “আজ অপারেশন করানোর কথা ছিল। ওনার হার্টের একটি সমস্য়া ছিল। পয়সা কড়ির সমস্যা ছিল। তাই আমার কাকু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় এখানে ভর্তি করিয়েছে। গতকাল অবধি বলে দিয়েছিল, মোট আট বোতল রক্ত লাগবে। আমরা আট বোতল রক্ত কিনে দিই। আরও চার বোতল রক্ত বাইরে থেকে দিই। মোট ১২ বোতল রক্ত দিই। এরপর আজ সকাল থেকে টাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আমাদের নগদ দিতে হবে এবং এর কোনও রশিদ আমাদের দেওয়া হবে না। হাসপাতাল বলছে, চিকিৎসককে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্যাশ দিতে হবে। নাহলে চিকিৎসক অপারেশন শুরু করবেন না।”
কিন্তু কেন এই রশিদ দিতে চাইছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? রোগীর পরিবারের বক্তব্য হাসপাতাল থেকে বলছে, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় তারা এই টাকা ক্লেইম পাবে না। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় যদি এই অপারেশন করাতে হয়, তাহলে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ দিতে হবে। এরপর যখন আমরা সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাই, তখন আমাদের বলা হয় আমাদের সই করে দিতে হবে যে পরবর্তীতে এই টাকার কোনও বিলের দাবি আমরা করব না।”
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চায়নি। রাজ্যে যখন স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় রাজ্য়ের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিচ্ছেন, তখন এই ধরনের ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে রাজ্যের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর।
আরও পড়ুন : POCSO : ‘স্তন বিকশিত হয়েছিল কি না গুরুত্বহীন, অভিযুক্তর যৌন অভিপ্রায়ই যথেষ্ট’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের