Primary Recruitment: ‘আগে চাকরি দিন, তারপর অফিস বদল করবেন’, বিক্ষোভ ডিপিএসসির সামনে

DPSC: চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। ২০১০ সালের ৪ জুলাই পরীক্ষা হয়। যদিও সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়।

Primary Recruitment: 'আগে চাকরি দিন, তারপর অফিস বদল করবেন', বিক্ষোভ ডিপিএসসির সামনে
ডিপিএসসির সামনে বিক্ষোভ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2022 | 7:54 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১৩ বছরের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবার আমরণ অনশনের ডাক দিলেন ২০০৯ সালের প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করার পর এতগুলো বছর কেটে গেলেও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের এই অভিযোগ। তাঁরা আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত গত ১০ নভেম্বর মামলার শুনানি ছিল। আদালত দু’,সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। নিয়োগপ্রার্থীদের অভিযোগ, ৩৯ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও নিয়োগপত্র হাতে পাননি তাঁরা। এরপরই রবিবার থেকে বালিগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (DPSC) বা বালিগঞ্জে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। এরইমধ্যে সোমবার আবার ডিপিএসসির অফিস বদলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ডায়মন্ড হারবারে নতুন অফিসে হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিপিএসসির। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, আগে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হোক, তারপর অফিস বদল করা হবে। যদিও এ বিষয়ে সংসদের বক্তব্য, অফিসের কাজ অফিসের মতো করেই এগোবে। নিয়োগের বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, “দফতরের নির্দেশ মেনেই ডায়মন্ড হারবারে নতুন ভবনে অফিস স্থানান্তরিত হবে। ওই অফিসটি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আমরা যেখানে আছি এখন, সেটা ভাড়া বাড়ি। এর ভাড়া প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। আমাদের নতুন ভবন হয়ে যাওয়ায় অফিস ট্রান্সফার হবে। আন্দোলনকারীরা চাইলে যে কোনও জায়গায় আন্দোলন করতে পারেন। আমরা সব দাবিই শুনেছি। আজও কথা হয়েছে। শূন্যপদ পেয়ে গেলে তাড়াতাড়িই নিয়োগ দিয়ে দেওয়া হবে।”

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। ২০১০ সালের ৪ জুলাই পরীক্ষা হয়। যদিও সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে আবারও পরীক্ষা হয়। সে বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু ইন্টারভিউয়ের পরই কয়েকজন চাকরি প্রার্থী জটিলতা তৈরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরি প্রার্থী দাবি তোলেন, প্রশিক্ষণের কারণে অগ্রাধিকার দিতে হবে তাঁদের।

dpsc

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অজিতকুমার নায়েক।

যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, যে সময় তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তখন টেট, ডিএলএড-এর বিষয় ছিল না। তাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার পাওয়ার প্রশ্নই নেই। এই নিয়েই মামলা হয় এপ্রিল মাসে। ১০ নভেম্বর আদালত রায় দেয় এই আন্দোলনকারীদের পক্ষে। ১৪ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতেও বলা হয়। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ১৫০৬টি শূন্যপদ থাকলেও ১০৩টি পোস্ট রয়েছে। ১৪০৩ পোস্ট তৈরি করতে হবে। তিনি জানান, এর জন্য দফতরের যেখানে যা চিঠি দেওয়ার তাও দেওয়া হয়েছে। দফতরও তৎপর। নির্দেশ এলেই নিয়োগ দেওয়া হবে।