Burdwan University: তৃণমূলের অনুষ্ঠানের জন্য বর্ধমানে প্রায় দেড়শো কলেজের পরীক্ষা বাতিল? শিক্ষামহলে চাপানউতোর
Burdwan University: বিবেকানন্দ কলেজের টিচার ইনচার্জ অনিমেষ দেবনাথ বলছেন, “১ মার্চ কলেজের অধ্যাপকরা কলকাতায় অনুষ্ঠানে যাবেন বলে আমায় জানান। কলেজে অধ্য়াপকরা না থাকলে পরীক্ষা পরিচালনা করবেন কারা?”

বর্ধমান: ১ মার্চ থেকে স্নাতকের পরীক্ষা (GE-1)। আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, হঠাৎ নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের নির্ধারিত রুটিন বাতিল করে দেয়। নতুন বিজ্ঞপ্তি বলছে, পরীক্ষা শুরু হবে ৪ মার্চ থেকেই। এই নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই শুরু হয়েছে শোরগোল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই রয়েছে বিবেকানন্দ কলেজ। সূত্রের খবর, বিশেষ কারণ দেখিয়ে ১ মার্চ পরীক্ষা বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু, কী সেই ‘বিশেষ কারণ’?
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অধ্যাপকদের একাংশ। সরব হয়েছে এসএফআই। তাঁদের অভিযোগ, ১ মার্চ কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতির(WBCUPA) অনুষ্ঠান আছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। আয়োজন সংগঠনের বহু অধ্যাপক ওইদিন কলকাতায় থাকছেন। সে কারণেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে প্রায় শ’ দেড়েক কলেজ। আচমকা নতুন সূচিতে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও।
বিবেকানন্দ কলেজের টিচার ইনচার্জ অনিমেষ দেবনাথ বলছেন, “১ মার্চ কলেজের অধ্যাপকরা কলকাতায় অনুষ্ঠানে যাবেন বলে আমায় জানান। কলেজে অধ্য়াপকরা না থাকলে পরীক্ষা পরিচালনা করবেন কারা? আমরা এ নিয়ে একটি বৈঠক করি। তারপরই ঠিক হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পরীক্ষা বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ১ মার্চের বদলে ৪ মার্চ পরীক্ষার দিন ঠিক করেছে।” এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক উষশী রায়চৌধুরী বলছেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাই। এর আগেও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষা বাতিলের ঘটনা ঘটেছে।”
শাসকবিরোধী অধ্যাপক সংগঠন বর্ধমান ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (BUTA) সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর গোস্বামী বলেন, “একটা কলেজের অধ্যাপকরা অনুরোধ করল আর বিশ্ববিদ্যালয় সেটা মেনে নিল! আমরাও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে রেজাল্ট সময়ে বেরবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ধান্তের জন্য প্রায় দেড়শো কলেজের কয়েক হাজার পড়ুয়া সমস্যার মধ্যে পড়ল।” অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চয় পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনও অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষা বাতিল হয়নি।”





