‘পোড়া বিড়ি খাওয়া তৃণমূল নেতারা ৫০-১০০ কোটির মালিক’, দিঘায় শুভেন্দুর খোঁচা
দিঘার সভা থেকে তৃণমূল নেতাদের 'নাক-কান কাটা' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, 'কিছু নাক কাটা, কান কাটা লোকদের তৃণমূল বের করেছে ভোটের সময়।'
পূর্ব মেদিনীপুর: একই দিনে হাওড়া জেলায় তৃণমূলের উপর দিয়ে বড় ঝড় বয়ে গিয়েছে। প্রথমে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ, পরে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বহিষ্কার। এই দুই ঘটনা নিয়ে ঘাসফুলকে ভালোই খোঁচা দিলেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দিঘার সভা থেকে তৃণমূল নেতাদের ‘নাক-কান কাটা’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, ‘কিছু নাক কাটা, কান কাটা লোকদের তৃণমূল বের করেছে ভোটের সময়।’
তিনি বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার পরই নন্দীগ্রামে সভা করেন মমতা। বকলমে নিজেকে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর থেকে যেন আরও তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন শুভেন্দু। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, এক জায়গা থেকেই লড়তে হবে মমতাকে। এদিন শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, “খুব ভাল লাগছে এতদিনে নন্দীগ্রামে কথা মনে পড়েছে দেখে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে যদি দাঁড়ায় আমি হারাব।” নাম না করে তৃণমূলের মদন মিত্র, কুণাল ঘোষ ও ছত্রধর মাহাতোদের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, “কে সাড়ে তিন বছর সারদা মামলায় জেল খেটেছে। কে একুশ মাস জেল খাটল, কে বা আবার দেশদ্রোহী আইনে জেল খাটা আসামি। ভোটের সময় এদের বার করেছে তৃণমূল। ওদের নাম নেব না।”
আরও পড়ুন: বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শুভেন্দু অধিকারী এ দিন বলেন, “স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাকে চিনি, যারা আগে ছেঁড়া চটি পরে ঘুরতো আর পোড়া বিড়ি খেত, এখন কেউ ৫০ কোটি বা কেউ ১০০ কোটির মালিক। এখন তৃণমূলে প্রতিদিন মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছেই। ভোটার তো আগেই পালিয়েছে। টিভি খুললেই দেখছি পদত্যাগ, বলছে আমরা আহত আর পারছি না। কেই বা কর্মচারী হয়ে থাকতে চায়, রাজনৈতিক সহকর্মীর মর্যাদা চায়।” যদিও এদিনের সভায় রামনগরে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির সম্পর্কে একটিও বাক্য খরচ করতে দেখা যায়নি না বর্তমান বিজেপির এই দাপুটে নেতাকে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাকসিনও এল বাংলায়, তবে প্রয়োগ নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন