TMC Leader Group Clash: কাউন্সিলর ভার্সেস বিধায়ক, এবার জামুরিয়ায় প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের ঘরের ঝগড়া
TMC Leader Group Clash: ঘটনার সূত্রপাত ইসিএলের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ স্থানীয় বেশকিছু বাসিন্দা ওই এলাকায় ইসিএলের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। সেই কাজে বাধা দিচ্ছেন কাউন্সিলর বৈশাখী। আসানসোল পুরসভার অনুমতি ছাড়া এলাকায় নতুন নির্মাণ করা যাবে না। এমনটাই তিনি নিদান দিয়েছেন। ফলত যারা এই নির্মাণ কাজ করছেন তাঁদের বাড়িতে কর্পোরেশনের নোটিস গিয়েছে।
জামুরিয়া: দল বার্তা দিয়েছে লোকসভা ভোটের আগে নিচুতলার নেতা কর্মীদের নিজেদের অন্দরের কোন্দল মেটাতে হবে। কিন্তু আদৌ কি সেই কথা কানে তুলছেন তাঁরা? এবার ফের গোষ্ঠী কোন্দলের খবর প্রকাশ্যে জামুরিয়া থেকে। একটি ভাইরাল হওয়া অডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা) সেই অডিয়ো থেকে শোনা যাচ্ছে, জামুরিয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং এলাকাবাসীদের বলছেন, “কাউন্সিলর যদি আপনাদের কোনও কাজ না করেন তার কাছে যাওয়ার দরকার নেই। সেই কাজ আমি করে দেব। আগে আমি বিধায়ক হয়েছি। পরে আমার সুপারিশেই বৈশাখী বাউরি টিকিট পেয়েছে। তারপর ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছে।” এই নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন কাউন্সিলরও। তৃণমূল কাউন্সিলর বৈশাখী বাউরির অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে যদি কেউ অভিযোগ করে থাকেন সে কথা তাঁকেই জানাতে পারতেন। তা না করে উনি প্রকাশ্য সভাতেই তাঁকে নিয়ে নিন্দা করতে শুরু করেছেন। এটা উচিত নয়।
কী ঘটেছে?
ঘটনার সূত্রপাত ইসিএলের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ স্থানীয় বেশকিছু বাসিন্দা ওই এলাকায় ইসিএলের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। সেই কাজে বাধা দিচ্ছেন কাউন্সিলর বৈশাখী। আসানসোল পুরসভার অনুমতি ছাড়া এলাকায় নতুন নির্মাণ করা যাবে না। এমনটাই তিনি নিদান দিয়েছেন। ফলত যারা এই নির্মাণ কাজ করছেন তাঁদের বাড়িতে কর্পোরেশনের নোটিস গিয়েছে।
বিধায়ক হরেরাম সিং-কে এলাকাবাসী সেই অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, জমিটি যখন রাজ্য সরকারের নয় তাহলে কেন পুরনিগমের অনুমতি নিতে হবে ? কাউন্সিলর উন্নয়নের কাজ করেন ন। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন না। বলেও অভিযোগ করা হয় বিধায়ক হরেরাম সিং কে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ, বিধায়ক হরেরাম সিং স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন,”আপনারা ইসিএলের জমিতে বাড়ি করতেই পারেন তার জন্য পুরনিগমের অনুমতি লাগে না। যদি এই কাজ করতে কাউন্সিলর বাধা দিচ্ছে,তাহলে তিনি অন্যায় করছে। আপনাদের অসুবিধা হলে আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।”
স্থানীয় কাউন্সিলর বৈশাখী বাউরী জানান, “পুরনিগম কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশ জারি করেছেন যে সমস্ত ওয়ার্ডে নতুন কোনও কনস্ট্রাকশনের কাজ হবে সেই কনস্ট্রাকশন পুরনিগমের অনুমতি নিয়ে হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে পুরনিগমকে জানাতে হবে। সেই মতো তিনি পুরোনিগমকে জানিয়েছিলেন। পুরনিগম কর্তৃপক্ষ এসে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়ে গিয়েছে। এখানে আমার অন্যায় কী?
তবে এলাকাবাসী এও অভিযোগ করেছেন, ওই কাউন্সিলর বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি চাইছেন। তা না দেওয়াতেই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। যদিও কাউন্সিলর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিধায়ক হরেরাম সিং বলেছেন, “যদি কাউন্সিলর এলাকায় কাজ না করেন। তাহলে যা কাগজপত্র সই স্বাক্ষর লাগবে আমি করে দেব। এরমধ্যে তিনি বিতর্কের কিছু দেখতে পাচ্ছি না।”
এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। তার দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি, জেলা তৃণমূল সম্পাদক, বিধায়ক কাউন্সিলর, সব ভিন্ন ভিন্ন এখানে লবি। সবাই নিজে নিজের মতো কাটমানি খেতে ব্যস্ত। সেই ঘটনাই বারবার প্রকাশ্যে আসছে।