Kamarhati: তৃণমূল নেতাকে চপার দিয়ে কোপ, অভিযুক্ত কাউন্সিলরের ছেলে
কামারহাটির পাঁচ মাথার মোড় পার করার পর স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে নওয়াজ সিকান্দার চপার দিয়ে আলি রাজার উপরে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ধারাল চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে।
কামারহাটি: ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠল কামারহাটি। তৃণমূল নেতাকে চপার দিয়ে কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরেরই ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকালে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গুরুতর আহত ওই তৃণমূল নেতা বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর।
পুলিশ জানায়, আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম আলি রাজা। চপার দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে নওয়াজ সিকান্দারের বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক সিকান্দর। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে এলাকায় এক রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন কামারহাটির তৃণমূল নেতা আলি রাজা। কামারহাটির পাঁচ মাথার মোড় পার করার পর স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে নওয়াজ সিকান্দার চপার দিয়ে আলি রাজার উপরে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ধারাল চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা আলি রাজা। তারপর স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। আলি রাজার স্ত্রী আফরিন রাজা ইতিমধ্যে আলি রাজাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে বলে অভিযোগ আফরিনের। তিনি বলেন, “আমার স্বামী সোশ্যাল ওয়ার্কার। তৃণমূল করে। যে হামলা চালিয়েছে, সিকান্দার- সেও তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে। আমার স্বামী মানুষের জন্য কাজ করে। কাউন্সিলরের অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করে। সেজন্যই তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। এর আগেও ওরা হামলা চালিয়েছে। তখন পুলিশে এফআইআর করেছিলাম। গত এক সপ্তাহ ধরে ওরা আমার স্বামীকে হুমকি দিচ্ছিল। সেটাও পুলিশকে জানিয়েছিলাম। এবার আবার হামলা চালাল।” অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর আফসানা খাতুন। কামারহাটি মোড়ে গন্ডগোলের কথা স্বীকার করলেও সেই ঘটনায় তিনি বা তাঁর ছেলে জড়িত নয় বলে দাবি কাউন্সিলরের। তাঁর পাল্টা দাবি, “আলি রাজা মদ খায়। অনৈতিক কাজকর্ম করে। সেজন্য ওকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলাম। কে ওকে মারধর করেছে জানি না।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবারই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। সেই বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টা পরই ফের কামারহাটিতে আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল কর্মী।