Khardha TET: ‘আধ ঘণ্টায় কী আর পরীক্ষা দেওয়া যায়?’ অ্যাডমিট কার্ডে ঠিকানা বিভ্রাট, হল থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরীক্ষার্থী
Khardha TET: পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রুচিতা গুহঠাকুরতা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর মতো সমস্যায় ভোগা বাকি পরীক্ষার্থীরাও।
উত্তর ২৪ পরগনা: খড়দার মেয়ে, পরীক্ষার সিট পড়েছে খড়দাতেই। স্কুলও চেনা। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে একই স্কুলের নাম থাকলেও ঠিকানায় লেখা ডায়মন্ড হারবার। ভোর রাত থেকে উঠে ডায়মন্ড হারবার চলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলেন ঠিকানা ভুল। সংশোধন করে আবারও খড়দার কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে সময় পেরিয়েছে অনেকটাই। পরীক্ষা দিতে পেরেছেন। কিন্তু মাত্র আধ ঘণ্টা। পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রুচিতা গুহঠাকুরতা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর মতো সমস্যায় ভোগা বাকি পরীক্ষার্থীরাও।
হল থেকে বেরিয়ে রুচিতা বললেন, “প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু লেখাই শেষ করতে পারলাম না। আধ ঘণ্টায় কী আর পরীক্ষা হয়? বড় ক্ষতি হয়ে গেল।” আপনজনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। সঙ্গেই ছিলেন আরও পরীক্ষার্থীরা। তাঁরাও ক্ষোভ উগরে দিলেন পর্ষদের ওপরেই। এক জন পরীক্ষার্থী বলেন, “এইভাবে ভুল ঠিকানা দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। গোটা দায় পর্ষদের। আমি বলা হয়েছিল ৩ টে পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা দেওয়া হল না।”
প্রসঙ্গত, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা পড়েছিল খড়দার কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠে। কিন্তু ঠিকানায় লেখা ছিল ডায়মন্ড হারবার। খড়দা, বনগাঁ, মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনার অনেক এলাকা থেকে বহু পরীক্ষার্থী ডায়মন্ড হারবার চলে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। ফের তাঁরা আড়াই ঘণ্টা পথ এসে কল্যাণনগর আসেন। খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর হলে ঢুকতে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় এতেই চলে যায়। অভিযোগ, তারপরও তাঁদের অতিরিক্ত সময় না দিয়ে আড়াইটেতেই উত্তরপত্র নিয়ে নেওয়া হয়।