Lalbaba Collage Clash: কার দখলে সরস্বতী, টিএমসিপির ছাত্র সংসদের গোষ্ঠী রণক্ষেত্র লালবাবা কলেজ

Lalbaba College Clash: গতকাল কলেজ খোলার পর কলেজে কারা সরস্বতী পুজো করবে তা নিয়েই ঝামেলায় জড়ায় টিএমসিপির দুই গোষ্ঠী। প্রথমে বাকবিতণ্ডার পর দুই গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা একে অপরের চুলের মুঠি ধরে শুরু করে মারামারি। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্ত্বর। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বালি থানার পুলিশ।

Lalbaba Collage Clash: কার দখলে সরস্বতী, টিএমসিপির ছাত্র সংসদের গোষ্ঠী রণক্ষেত্র লালবাবা কলেজ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2022 | 1:19 PM

হাওড়া: কার দখলে থাকবেন বীণাপানি, সেই নিয়েই গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেলুড় লালবাবা কলেজ। দীর্ঘদিন পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে কলেজ খোলার প্রথমদিনই লালবাবা কলেজের তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে হাতাহাতি পর্যন্ত বেঁধে যায়। চলতি বছরে কারা সরস্বতী পুজো করবে তাই নিয়েই লালবাবা কলেজের ছাত্র সংসদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে। পরে তা রণক্ষেত্রের আকার নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় পুলিশকেও।

জানা গিয়েছে গতকাল কলেজ খোলার পর কলেজে কারা সরস্বতী পুজো করবে তা নিয়েই ঝামেলায় জড়ায় টিএমসিপির দুই গোষ্ঠী। প্রথমে বাকবিতণ্ডার পর দুই গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা একে অপরের চুলের মুঠি ধরে শুরু করে মারামারি। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্ত্বর। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বালি থানার পুলিশ। দুই গোষ্ঠীই পুলিশের কাছে একে অপরের নামে অভিযোগ জানায়। কলেজের প্রাক্তন সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রজ্ঞা পুরকাইতের অভিযোগ বালি ব্লক কেন্দ্রের টিএমসি কনভেনার অভিজিৎ রায় বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে হামলা চালিয়েছে।

তবে লালবাবা কলেজে বর্তমানে কোনও ছাত্র সংসদ না থাকলেও ওই কলেজের টিএমসিপি সদস্যদের সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে তার পক্ষে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অভিজিৎ রায় জানান কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা ডাকলে তিনি আসেন। আজকের ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন অভিজিৎবাবু। তবে জানা গিয়েছে গতকাল কলেজ খোলার পর এ বছরে সরস্বতী পূজা করা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এই ব্যাপারে প্রসূন দে নামে এক ছাত্রের বক্তব্য, ‘আমি সবে ইউনিয়ানে যোগ দিয়েছিলাম, কিছুই জানি না। আজ কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে থাকার সময় প্রথমবর্ষের একটি মেয়ে আমাকে ধাক্কা মারে। আমি তার হাত ধরলে মেয়েটি ঘুরিয়ে আমাকে থাপ্পড় মারে। মেয়েটি সম্ভবত প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আমি চিনিওনা তাকে।’

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জয় পাল বলেন, ‘দুপক্ষ পুজো করতে চেয়েছিল। তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি বলেছিলাম দু পক্ষই পুজো করো, তোমরা কমিটিতে থাকো দায়িত্ব নাও, কিন্তু ওরা রাজি হয়নি। এরপরই ঝামেলা বেঁধে যায়। তবে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’ তাঁর দাবি, ছাত্র সংসদের দু পক্ষই একই দলের হয়ে কাজ করে, আমি আর নতুন করে কী বলব। ছাত্রদের বলি পড়াশুনায় মনোযোগ দাও। তিনি কলেজের হয়েও এই ঘটনায় পুলিশেও অভিযোগ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত অভিজিৎ রায় বলেন, ‘যে অভিজিতের নামে অভিযোগ উঠছে সেটা যে আমি তার কী প্রমাণ আছে। এটা প্রমাণ সাপেক্ষ ব্যাপার। এগুলো সব বাজে ব্যাপার। কেন প্রিন্সিপাল এমন অভিযোগ করছেন আমি জানি না। কলেজে জেলা সভাপতি একটি ইউনিট করে দিয়েছে, আমার একটা ইউনিট আছে, আমার প্রতিনিধি ডাকলে আমাকে কলেজে যেতেই হবে। আগামীদিনে ডাকলেও আমি যাব। আমি প্রিন্সিপালের অনুমতি নিয়েই কলেজে যাই। নতুন পুরনো ইউনিয়ন বলে এখানে কিছুই নেই। এবিভিপির কিছু দুস্কৃতি ঝামেলা বাঁধায়।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা