Kaliyaganj Chaos: উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে মৃত্যু যুবকের, পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল গুলি করার অভিযোগ
Kaliyaganj Chaos: বিজেপি এবং মৃতের পরিবারের দাবি, কালিয়াগঞ্জের বিক্ষোভকাণ্ডে বিজেপি-র গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণুবর্মণকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা ও সদ্য বিবাহিতা মেয়ে এবং জামাইকে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
কালিয়াগঞ্জ: কিছুতেই যেন শান্ত হচ্ছে না উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ফের নতুন করে উত্তপ্ত এলাকা। বিজেপি এবং মৃতের পরিবারের দাবি, কালিয়াগঞ্জের বিক্ষোভকাণ্ডে বিজেপি-র গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণুবর্মণকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা ও সদ্য বিবাহিতা মেয়ে এবং জামাইকে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেই বাধা দেন বিষ্ণবর্মণের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ। তখনই পুলিশ বাধা পেয়ে গুলি করে বলে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ (৩৩)। ঘটনার পর সরব হয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা টুইটে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বিরুদ্ধে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ঘটনাস্থল কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর সংলগ্ন চাঁদকা গ্রাম। অভিযোগ, সেই এলাকায় গতকাল রাত্রে পুলিশ পৌঁছয়। এর আগে কালিয়াগঞ্জে উত্তেজনার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয় বেশ কয়েকজনকে। তাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে বচসা বাধে। সেই সময় পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বর্তমানে থমথমে গোটা এলাকা। পুলিশের বিশাল বাহিনী পৌঁছছে এলাকাস্থলে।
বিজেপি-র দাবি, ওই এলাকায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সকলেই বিজেপির কর্মী সমর্থক। ফলে যিনি মারা গিয়েছেন তিনিও বিজেপি কর্মী ছিলেন। ফলে গোটা ঘটনায় চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক রঙ। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা একটি ভিডিও টুইট করেছেন।
‘Mamata’ police brutally killed a Rajbangshi young man of 33 years at Kaliaganj.
Trigger happy ‘Mamata’ police raided the house of a BJP Panchayet Samiti Member Bishnu Barman at 2:30 am midnight (April 27; 2023) but did not find him. They brutally shot dead a Rajbangshi young… pic.twitter.com/zTohL8ECud
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) April 27, 2023
স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন, “তিনগাড়ি পুলিশ এসে বিষ্ণকে খুঁজল। তারপর ওর বাবাকে গাড়িতে তুলতে গেল। মৃত্যুঞ্জয় এসে জিজ্ঞাসা করল কেন তুলেছেন। থানার দারগা বলল শ্যুট করো। আর পুলিশ গুলি করল।”
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “দাড়িভিটে পুলিশ গুলি চালায়। ঠিক একই ঘটনা। দুষ্কৃতীরা যখন অন্যায় করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে না। এই ঘটনার পর জনরোষ আরও বাড়ল।”সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশের গুলিতে একজন নিরীহ মানুষ মারা গেছে। যাকে গ্রেফতার করতে গেল সে নেই তাই তোকে পেলাম না অন্যজনকে গুলি করলাম। আসলে মুখ্যমন্ত্রী যেমন বুদ্ধি দিচ্ছে তেমন পুলিশ লাফাচ্ছে। বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ।” তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেন বলেন, “মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি বিজেপির সংস্কতি। কালিয়াগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা পাওয়া গেল আত্মহত্যা। আর পুলিশ বাংলায় সহনশীলতার পরিচয় দেয় তা দেখেছেন ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। বিজেপি ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে মারধর করেছিল। এই কালিয়াগঞ্জেই দেখলেন পুলিশের উপর কীভাবে আক্রমণ হয়েছে। আসলে মানুষ যত প্রত্যাখান করছে ওরা তত জলঘোলা করে বেঁচে থাকতে চাইছে।”