Raignaj Medical College: হাসপাতালের জঞ্জালে অসুস্থ বৃদ্ধা, চিকিৎসায় এগিয়ে এল না কেউ!
সরকারি মেডিকেল কলেজ চত্বর যেখানে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিশ এবং সরকারি আধিকারিকরা দিনরাত থাকছেন, বৃদ্ধাকে দেখছেন। কিন্তু সবাই এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন?
রায়গঞ্জ: চরম অমানবিক! রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ চত্বরে আবর্জনার স্তুপে দিনের পর দিন পড়েছিলেন অসুস্থ বৃদ্ধা। চোখে দেখেও এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পাশেই দশতলা সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিং, আর সামনেই মেডিক্যাল পুলিশ ফাড়ি। কিন্তু অসহায়, অসুস্থ বৃদ্ধার উদ্ধারে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এনজিওর ঘারে দায় চাপিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। তবে হাসপাতালে আসা অন্য রোগীর আত্মীয়রা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধারের এবং তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা এমনকি হাসপাতালের কর্মীরাও ওই বৃদ্ধার অসহায়তা দেখছেন। এই ঘটনা বিচলিত করেছে তাঁদেরও। পরিচিত কেউ হলে এই দৃশ্য দেখে কি কেউ এড়িয়ে যেতে পারতেন? সেই প্রশ্নই তুলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত এই অসুস্থ বয়স্কা মহিলাকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
কিন্তু সরকারি মেডিকেল কলেজ চত্বর যেখানে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিশ এবং সরকারি আধিকারিকরা দিনরাত থাকছেন, বৃদ্ধাকে দেখছেন। কিন্তু সবাই এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন এনজিও-র উপরেই দায় চাপাচ্ছেন। রায়গঞ্জ মেডিকেলের সহকারি সুপার অভিক মাইতি বলেছেন, “এনজিও থেকে এনাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পর তাঁরা এ ভাবে পড়ে থাকেন যত্রতত্র। বিষয়টি জেলা সমাজ কল্যাণ দফতরকে জানানো হয়েছে।”
কিন্তু সব ক্ষেত্রেই শুধু জেলা প্রশাসন কেন? সামনেই পুলিশ ফাড়ি এমনকি নিজেদের চত্বরে এভাবে অসহায় অসুস্থ বৃদ্ধা জঞ্জালে পড়ে থাকার দৃশ্যে যখন শিউড়ে উঠছেন সাধারণ রোগীর পরিজনেরা, তখন মানবিক কি হতে পারতেন না মেডিকেল কর্তৃপক্ষ? নিজেদের উদ্যোগে কি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন না মেডিকেলের সিনিয়ার-জুনিয়ার চিকিৎসকরা? সেসব প্রশ্নই কিন্তু এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।