Raiganj ByElection: উপভোটে একটা জেসিবিই কি পিষে দেবে সুফলা লক্ষীর ভাণ্ডার? ফিসফাস রায়গঞ্জে
Chopra: সামনেই উত্তর দিনাজপুরের অন্য এক বিধানসভায় উপভোট। আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন রয়েছে রায়গঞ্জে। উপভোটের পরীক্ষা মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখেই পাশ করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এই রায়গঞ্জ থেকেই ১৩০ কিলোমিটার দূরে চোপড়ায় মহিলাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের যে ছবি উঠে এসেছে, তাতে মহিলাদের একাংশের মনে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে।
রায়গঞ্জ: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মাসে মাসে বাংলার ‘লক্ষ্মীদের’ হাতে পৌঁছে যাচ্ছে নগদ টাকা। ভোট রাজনীতিতে তৃণমূলকে দুর্দান্ত মাইলেজ দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভোট রাজনীতিতে ‘লক্ষ্মীদের’ কাছে টানতে বেশ সফল। কারণ, বিরোধীরা ভোট চাইতে গিয়ে হাতিয়ার করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। দিয়েছে নারী ক্ষমতায়নের প্রকল্পে আরও বেশি টাকার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এবারের উপভোটে কি সেই সুজলা-সুফলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে পিষে দেবে জেসিবি? চোপড়ার ঘটনার পর আপাতত এটাই রায়গঞ্জের উপভোটে চর্চার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সম্প্রতি যে মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, যেভাবে পাশবিক অত্যাচারের ছবি ধরা পড়েছিল, তাতে শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা। আর যার বিরুদ্ধে গোটা অভিযোগ, সেই ব্যক্তি হল জেসিবি ওরফে তাজমুল। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মারধরের ঘটনা নিয়ে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের কিছু মন্তব্য ঘিরে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মহিলার উপর অন্যায় হয়েছে, সে কথা মানলেও বকলমে মহিলাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। পরে অবশ্য তার সাফাইও দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু তাতে কি চিড়ে ভিজবে?
সামনেই উত্তর দিনাজপুরের অন্য এক বিধানসভায় উপভোট। আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন রয়েছে রায়গঞ্জে। উপভোটের পরীক্ষা মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখেই পাশ করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এই রায়গঞ্জ থেকেই ১৩০ কিলোমিটার দূরে চোপড়ায় মহিলাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের যে ছবি উঠে এসেছে, তাতে মহিলাদের একাংশের মনে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন মহিলারা।
রায়গঞ্জের অনেক মহিলাই বেশ বিরক্ত চোপড়ার ঘটনা নিয়ে। তাঁদের স্পষ্ট কথা, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে, তাই বলে তো মহিলাদের এইভাবে মারতে পারে না।’ চোপড়ার ঘটনার কিছুটা প্রভাব যে উপভোটে পড়তে পারে, সে কথাও মানছেন রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ‘লক্ষ্মীরা’। তাঁরা চাইছেন, সম্মানটা থাকুক। আর মহিলাদের মনের মধ্যে জ্বলতে থাকা এই তুষের আগুনকেই হাতিয়ার করছে পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনি চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উদ্দেশ্য নিয়ে। তাঁর প্রশ্ন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উদ্দেশ্য কি শুধুই মহিলা ভোটব্যাঙ্ক? বলছেন, ‘মহিলাদের নিরাপত্তা কেড়ে নিয়ে, হাজার টাকা দিয়ে মহিলাদের বোকা বানানো কি সম্ভব? বাংলার লক্ষ্মীর সম্মান কি রাস্তায় মিশিয়ে দেওয়া যায়?’
অন্যদিকে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহা আবার বলছেন, ‘চোপড়া ও রায়গঞ্জকে একসঙ্গে মিশিয়ে ফেললে চলবে না। মহিলারা সুরক্ষিত রয়েছেন বলেই তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিচ্ছেন। বিজেপি যদি দুটি ঘটনাকে মিলিয়ে ফেলতে চায়, সেটা তাদের ভোটের রাজনীতি।’