Raigunj School: স্কুলে মোবাইল! তাও আবার ‘চুরি’ করেছে সহপাঠী, ‘কঠোর’ সাজা দিতে আরও ‘কঠোর’ প্রধান শিক্ষিকা

North Dinajpur: কী ঘটনা ঘটেছে তা জানতে দুই ছাত্রীকে নিজের কাছে ডেকে পাঠান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নবনীতা সরকার। পরিবার দু'টির অভিযোগ, সাধারণ কোনও শাস্তি দেওয়ার পথে হাটেননি প্রধান শিক্ষিকা।

Raigunj School: স্কুলে মোবাইল! তাও আবার 'চুরি' করেছে সহপাঠী, 'কঠোর' সাজা দিতে আরও 'কঠোর' প্রধান শিক্ষিকা
চুরির অভিযোগে ছাত্রীকে দেওয়া হল টিসি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2022 | 4:48 PM

রায়গঞ্জ: লুকিয়ে স্কুলে ফোন এনেছিল এক পড়ুয়া। পরে হঠাৎই তা খোয়া যায়। চুরির অভিযোগে ওঠে এক সহপাঠীর বিরুদ্ধেই। এরপর দুপক্ষের ঝামেলা প্রকাশ্যে আসে। জানাজানি হয় কর্তৃপক্ষের মধ্যেও। মুখ্য সমস্যার উৎপত্তি সেখান থেকেই। ‘কঠোর’ সাজা দিতে এক্কেবারে দুই পড়ুয়াকেই স্কুল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন প্রধান শিক্ষিকা। ফলে শিক্ষাবর্ষের মাঝে বিপাকে দুই পড়ুয়া ও তাদের ভবিষ্যৎ।

ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের উদয়পুর বালিকা বিদ্যালয়ে। সোমবার স্কুলে লুকিয়ে একটি মোবাইল ফোন এনেছিল অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নন্দিতা দাস। কিন্তু পরে সেই মোবাইলটি খোয়া যায়। নন্দিতা অভিযোগ করে, সহপাঠী মনিকা সরকার তার অলক্ষ্যে ব্যাগ থেকে বের করে নিয়েছে মোবাইলটি। পরে নাকি সেটি পাওয়াও যায় মনিকার কাছ থেকে। ফলে চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। বিষয়টি জানাজানি হয় বাকি শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে।

কী ঘটনা ঘটেছে তা জানতে দুই ছাত্রীকে নিজের কাছে ডেকে পাঠান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নবনীতা সরকার। পরিবার দু’টির অভিযোগ, সাধারণ কোনও শাস্তি দেওয়ার পথে হাটেননি প্রধান শিক্ষিকা। পরিবর্তে দুজনকেই সরাসরি স্কুল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হবে এই আশঙ্কায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অনুরোধ করেন নন্দিতা ও মনিকার অভিভাবকরা। কিন্তু সেই সমস্ত অনুরোধে কর্ণপাত করতে চাননি প্রধান শিক্ষিকা। এমনকী একটি মুচলেকাতেও সই করিয়ে নেওয়া হয় তাদের। এমতাবস্থায় কার্যত অথৈ জলে দুই পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। কারণ দুপক্ষেরই দাবি, ‘দিন আনি দিন খাই পরিবার তাদের। তবুও অনেক কষ্টসৃষ্ট তারা মেয়ের পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রধান শিক্ষিকা নবনীতা সরকারকে। যদিও, তিনি বরখাস্ত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বরং তাঁর সাফাই, ‘দুই ছাত্রীর পরিবার চেয়েছিল তাদের মেয়েকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে। অভিভাবকদের তরফে আবেদন করা হয়েছিল আমার কাছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আমি টিসি দিই। সার্টিফিকেট লিখেছি। ওনারা যদি স্কুলে পড়ুয়াদের রাখতে চান তাহলে আমরা রাজি আছি।’ অপরদিকে, তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতিকে তিনি কিছু জানাননি বলে স্বীকার করে নেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ জানান, ‘গোটা বিষয়টি তার কাছে অজানা।’