Uttar Dinajpur: তৃণমূল নেতাকে হুমকি চিঠি, শুধু বিরোধীরা নয়, সন্দেহের তালিকায় দলের কর্মীদেরও রাখছেন রায়গঞ্জের নেতা

Uttar Dinajpur: অরিন্দম সরকারের দাবি, সোমবার দুপুরে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তখনই একটি চিঠি তাঁর বাড়িতে আসে। বিকেলে বাড়ি ফিরে খাম খুলে দেখেন হিন্দি ভাষায় লেখা তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

Uttar Dinajpur: তৃণমূল নেতাকে হুমকি চিঠি, শুধু বিরোধীরা নয়, সন্দেহের তালিকায় দলের কর্মীদেরও রাখছেন রায়গঞ্জের নেতা
উপপুরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2022 | 9:39 AM

উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জের তৃণমূল নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ। রায়গঞ্জ পুরসভার উপপুরপ্রশাসককে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে চিঠি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর বক্তব্য এই নেতার মুখেই শোনা গেল। তাঁর সন্দেহ এই ঘটনা বিরোধী শিবিরের কেউ করে থাকতে পারে কিংবা তৃণমূলেরই কারও কাজ হতে পারে। এই ঘটনায় জোর হইচই রায়গঞ্জে। সোমবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় যান উপপুরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। সাধারণ মানুষ ফুঁসছে। এগুলি তারই অঙ্গ হতে পারে। অন্যদিকে এ নিয়ে তৃণমূলের কারও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। পেলে তা এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।

অরিন্দম সরকারের দাবি, সোমবার দুপুরে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তখনই একটি চিঠি তাঁর বাড়িতে আসে। বিকেলে বাড়ি ফিরে খাম খুলে দেখেন হিন্দি ভাষায় লেখা তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জের রেজিস্ট্রেশন কোড যুক্ত একটি গাড়ির নম্বরও উল্লেখ করে তাঁকে খুনের জন্য ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। সোমবার রাতেই থানায় যান তিনি।

অরিন্দম সরকারের বক্তব্য, “বেলা দেড়টা নাগাদ বাড়িতে একটা চিঠি পাই। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তা আমি হাতে পাই। চিঠিটা খুলতে দেখি কোনও নাম ঠিকানা নেই। হিন্দিতে আমাকে সাবধান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমার জন্য নাকি কেউ সুপারি দিয়ে গেছে। মানে খুনের উদ্দেশে টাকা দিয়ে গেছে। সাবধানে থাকতেও বলা হয়েছে। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত হতে পারে আমাকে ভয় পাওয়ানোর উদ্দেশে। বিরোধী মানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের থেকেও অনেক সময় এসব হয়। আবার কখনও কখনও হয় নিজেদের দলে যারা আমাকে ছোট করতে চায় তাদেরও এটা কাজ করতে পারে।”

এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, “বিজেপি কোনও সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নয়। শাসকদলের জেলার এমন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল তো দেখতে পাই। আমার মনে হয় এটা তারই অঙ্গ। পাশাপাশি গোটা পশ্চিমবাংলাব্যাপী যেভাবে শাসকদলের নেতা কর্মীরা দুর্নীতিতে জড়াচ্ছেন, চাকরির নাম করে টাকা নিচ্ছেন, চাকরি না দেওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, এটা তারও অঙ্গ কি না জানি না। সারা রাজ্যেই তো শাসকদলের নেতাদের হুমকি, হুঁশিয়ারি, ভয় দেখানো চলছে।”