North Dinajpur: ছ’মাস ধরে আসছে না সরকারি টাকা, রায়গঞ্জ অনাথ শিশুদের ছাত্রাবাসে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা

North Dinajpur: প্রতিমাসেই ১ হাজার টাকা করে অনুদান পেত ওই শিশুরা। কিন্তু বিগত প্রায় ছ'মাস ধরে অ্যাকাউন্ট শুন্য।

North Dinajpur: ছ'মাস ধরে আসছে না সরকারি টাকা, রায়গঞ্জ অনাথ শিশুদের ছাত্রাবাসে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2022 | 8:20 AM

রায়গঞ্জ: ছ’মাস ধরে সরকারি বরাদ্দ অর্থ বন্ধ। বকেয়া টাকা শোধ না করলে ধার-বাকিতে খাদ্য সামগ্রী দিতে অস্বীকার গ্রামের দোকানীদের। আগামীতে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা পারধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনাথ আবাসিক ক্ষুদে ছাত্রদের। প্রশাসনের দুয়ারে কড়া নেড়েও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ স্কুল শিক্ষকদের। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলেছে ব্লক প্রশাসনের তরফে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জ ব্লকের পারধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

জেলার প্রান্তিক গ্রামের এই স্কুলে রয়েছে অনগ্রসর শ্রেনি কল্যাণ দফতরের অধীনস্থ ছাত্রাবাস। সেখানে বেশিরভাগই অনাথ শিশুরাই থাকে। লকডাউনের আগে পর্যন্ত সবই ঠিকঠাকই ছিল। অভিযোগ, লকডাউন পরবর্তী সময়ে আবাসিক পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর আসছে না সরকারিভাবে বরাদ্দ করা টাকা। প্রতিমাসেই ১ হাজার টাকা করে অনুদান পেত ওই শিশুরা। কিন্তু বিগত প্রায় ছ’মাস ধরে অ্যাকাউন্ট শুন্য। 

এদিুকে গ্রামের দোকান থেকে এই টাকা দিয়েই খাদ্য সামগ্রী কিনে তিন বেলা আবাসিক শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা হত। মাস ছয়েক ধরে টাকা না এলেও ছোটছোট শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে এতদিন ধারেই সবজি, মাছ বা মুদির সামগ্রী দিয়ে আসছিলেন গ্রামের দোকানদারেরা। কিন্তু, এভাবে আর কতদিন? বর্তমানে টাকা না আসায় বাজার কীভাবে হবে তা নিয়ে বেড়েছে চিন্তা। অন্যদিকে আর ধার-বাকিতে খাদ্য সামগ্রী দিতে চাইছেন না দোকানিরাও। এনিয়ে একাধিকবার ব্লক থেকে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ স্কুলের শিক্ষকদের। দ্রুত টাকা না পেলে কীভাবে শিশুদের খাবার জুটবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। 

ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের টিচার ইন চার্জ শুভাশিষ দাস বলেন, “করোনার পর চলতি বছর মার্চ থেকে হোস্টেলটা চালু করা হয়। কিন্তু, বিগত ৬ মাস ধরে বাচ্চাদের যে মাসিক টাকা সরকার দেয় সেটা আমরা পাচ্ছি না। তারফলে বাচ্চাদের থাকা খাওয়ার যে খরচ সেটা এখন গ্রামের লোকেরা বহন করে। কেউ চাল দেন, কেউ গ্যাস, কেউ মুদিখানার জিনিসপত্র। কিন্তু ওরাও আর দিতে চাইছেন না। দোকানেও ধারবাকি রয়েছি। আমি টাকার বিষয়ে জেলা শাসক, বিডিও চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাইনি।” যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ মন্ডল।