করোনা রোগী ও পরিবারের জন্য রায়গঞ্জে শুরু হল টেলি কাউন্সেলিং পরিষেবা
শহরে উর্ধমুখী করোনা (Corona) গ্রাফ। এই প্রেক্ষিতে করোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কাটাতে টেলি কাউন্সেলিং পরিষেবা চালু করল রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
রায়গঞ্জ: শহরে উর্ধমুখী করোনা (Corona) গ্রাফ। এই প্রেক্ষিতে করোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কাটাতে টেলি কাউন্সেলিং পরিষেবা চালু করল রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা পরিষেবা পাবেন বাড়িতে বসে। তাঁদের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কাটাতে মোবাইল ফোনেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন বিশেষঞ্জ চিকিৎসকেরা।
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ কৌশিক সমাজদার জানান, করোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবার নিজেদের শারীরিক পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদ্বেগে থাকেন। ফলে মানসিক চাপের কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়। সেই সঙ্গে, তাঁদের পরিবারের লোকেরাও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাঁদের সেই উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কাটাতেই মেডিকেলের তরফে টেলি কাউন্সেলিং পরিষেবা চালু হল।
জেলা মেডিকেল কলেজ সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার জন্য সাতজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন সাইকোলজিস্ট, পাঁচজন স্বাস্থ্য কাউন্সিলর ও একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। ইতিমধ্যে মেডিকেলের তরফে ওই সাতজন বিশেষঞ্জ স্বাস্থ্যকর্মীর নাম ও তাঁদের ফোন নম্বর উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট, মেডিকেলের নোটিস বোর্ড ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা চাইলে ওই সাতজন স্বাস্থ্যকর্মীকে ফোন করে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ও করোনায় আক্রান্ত থাকাকালীন তাঁদের কী করণীয়, সেই ব্যাপারে পরামর্শ পাবেন। সেই সঙ্গে, তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকার পদ্ধতি, পুষ্টি, করোনার প্রতিষেধক, করোনা বিধি, করোনা নিয়ে আতঙ্ক ও নেশা কাটানোর জন্যও বিভিন্ন পরামর্শ পাবেন।
আরও পড়ুন: মোটা টাকা গুনলে তবেই সৎকার, করোনা মৃতদের পরিবারের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
এদিকে এই পরিষেবাকে স্বাগত জানিয়েছেন রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষ। এই টেলি পরিষেবার ফলে আতঙ্ক বা প্যানিক কাটানো অনেকটা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।