Kaliagang: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সাসপেন্ড ৪ পুলিশকর্মী , শারীরিক নির্যাতনের কোনও প্রমাণ নেই, আবারও বললেন এসপি
Uttar Dinajpur: দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য। দিল্লি থেকে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা এসেছেন। রয়েছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতরও তুঙ্গে। বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে।
উত্তর দিনাজপুর: কালিয়াগঞ্জে (Kaliagang) ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করল জেলা পুলিশ। মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই চারজনকে সাসপেন্ড করেছে রায়গঞ্জ পুলিশ। চারজনই এএসআই পদমর্যাদার। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার এই বিষয়ে জানান। পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানান, “আমরা বিভাগীয় তদন্ত করেছি। প্রাথমিক যে রিপোর্ট পেয়েছি, সেই অনুযায়ী চারজন অফিসারকে আজ সাসপেন্ড করেছি। আজ সকালে করা হয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এখন এলাকা শান্তিপূর্ণ। দু’দিন ধরে তেমন কোনও সমস্যা নেই। মানুষ পুলিশের উপর ভরসা রেখেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা বিভাগীয় তদন্ত করেছি। প্রাথমিক যে রিপোর্ট পেয়েছি, সেই অনুযায়ী চারজন অফিসারকে আজ সাসপেন্ড করেছি। আজ সকালে করা হয়েছে।” পুলিশ সুপার বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরি। পরিবার আবেদন করলে, সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে যাবে।
নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ সুপার এদিন আবারও জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্টে কোনও শারীরিক নির্যাতনের কোনও প্রমাণ তারা পায়নি। আরও একবার নাবালিকার উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ খারিজ করে পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, “আমাদের তদন্ত প্রক্রিয়ায় যা যা করা দরকার সবই করা হচ্ছে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছিল কোনও শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। আবারও ৩ সদস্যর মেডিক্যাল বোর্ড বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ মেলেনি।”
পুলিশ সুপারের বক্তব্য, অনেকে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভুল তথ্য ছড়িয়ে শান্ত রায়গঞ্জে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, “কোনও গুজবে কান দেবেন না। পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা রাখুন। আমরা তদন্তের প্রতিটা ধাপ সিনিয়র অফিসারদের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। একজন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক তদন্ত করছেন। এলাকা দু’দিন ধরে শান্ত। আপনারা ভরসা রাখুন।” পুলিশ সুপার এও জানান, ওই নাবালিকার পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কোনও কারণ নেই। প্রথম দিন থেকেই সেখানে পুলিশ পাহারা রয়েছে।