Kaliaganj Physical Harassment Case: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে যে যে প্রশ্নগুলো তুললেন NCPCR-এর চেয়ারম্যান কানুনগো

Kaliaganj: নাবালিকার মৃত্যুতে বিষক্রিয়ার তত্ত্ব খাঁড়া করেছে পুলিশ। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। নাবালিকার যৌন হেনস্থা হয়েছে, জোর দিয়ে বলছেন তিনি।

Kaliaganj Physical Harassment Case: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে যে যে প্রশ্নগুলো তুললেন NCPCR-এর চেয়ারম্যান কানুনগো
NCPCR চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2023 | 3:04 PM

কালিয়াগঞ্জ: ছাত্রী মৃত্যুতে তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। এরই মধ্যে অব্যাহত রাজ্য বনাম জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দ্বন্দ্ব। নাবালিকার মৃত্যুতে বিষক্রিয়ার তত্ত্ব খাঁড়া করেছে পুলিশ। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (এনসিপিসিআর) চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। নাবালিকার যৌন হেনস্থা হয়েছে, জোর দিয়ে বলছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তিনি এখনও হাতে পাননি। ময়নাতদন্তকারী দুই ডাক্তারকে ছুটিতে পাঠাতে হল কেন? তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্ক। তাঁর দাবি, কেবল এক জন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক আকচাআকচিতে কি মূল ইস্যু কি ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে?

এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, “২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর পুলিশের তদন্তকারী অফিসার এসেছিলেন দেখা করতে। কিন্তু কোনও নথি নিয়ে আসেননি। এমনকি কেস ডায়েরিও নিয়ে আসেননি।” চেয়ারপার্সন বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

প্রশ্ন এক, তদন্তকারী অফিসার এটুকু পর্যন্ত জানতেন না, নাবালিকার দেহ উদ্ধারের খবর থানায় প্রথমে কে দিয়েছিলেন। তদন্তকারী অফিসারের কাছে কেন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই।

চেয়ারপার্সন বলছেন, এমন অনেক কিছু বিষয় আছে, তদন্তের স্বার্থে যেগুলোকে একে অপরের সঙ্গে মেলানো উচিত।

প্রশ্ন দুই: এখনও পর্যন্ত পুলিশ কেন ছাত্রীর মোবাইল ফোন সিজ় করল না? ছাত্রীর ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কেন ব্লক করা হল না? এ বিষয়ে পুলিশের কাছে যথাযথ কোনও তথ্য নেই।

ইস্যু তিন: এই মামলায় অভিযুক্ত দিল্লি থেকে এসেছিল বলে তথ্য রয়েছে। এই ছাত্রটি বেশ কিছুদিন ধরেই এই ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল বলে খবর রয়েছে, দাবি এনসিপিসিআর চেয়ারপার্সনের।

ইস্যু চার: তিন জন চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেছিলেন। কিন্তু কেন দু’জন চিকিৎসককে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল? চেয়ারপার্সনের বক্তব্য, তাঁদের ‘আউট অফ স্টেশন’ দেখানো হচ্ছে। ময়নাতদন্ত করা কেবল একজন চিকিৎসকই চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।

চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর আরও অভিযোগ, এডিএম ফোন করে ডিএসপি-কে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বারণ করেছিলেন। সেটা ডিএসপি নিজেই তাঁকে জানিয়েছেন বলে জানান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

উল্লেখ্য এই ঘটনায় প্রথম থেকেই বিষক্রিয়ার তত্ত্ব খাঁড়া করেছে রাজ্য। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আড়াই এমএল বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ছাত্রীর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অবশ্য এখনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।

রাজ্যে নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “একটা সামাজিক বিষয়। সেটা আত্মহত্যাই হোক কিংবা নির্যাতন হোক। কিন্তু যখন উন্নাও হয়, তখন কেন সেখানে এনসিপিসিআর যায় না? এই মৃত্যু থেকেও কেন রাজনৈতিক ফায়দা?”

যদিও প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর বক্তব্য, “বিষক্রিয়ার দাবি মিথ্যা। এই ছেলেটা কয়েকদিন ধরে নাবালিকাকে শোষণ করছিল। চিকিৎসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা যে তথ্য পেয়েছি, ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নাবালিকার দেহ এক জায়গায় ছিল না। খাবার খাওয়ার সময়ে পরিবার যা বলছে, চিকিৎসক পাকস্থলীর যে পজিশন বলছেন, তা মেলাতে হবে। অনেকগুলো তথ্য মেলাতে হবে।” সবমিলিয়ে কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে কমিশন বনাম কমিশন কাজিয়া চরমে।