TMC leader murder: অনেকক্ষণ থেকেই ফলো করছিলেন দু’জন, কামদেবপুর হাটের জন্যই খুন পঞ্চায়েত প্রধান?
TMC leader murder: পুলিশের অনুমান রূপচাঁদ মণ্ডলকে চিহ্নিত করে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই বোমা মারা হয়েছে। দুজন দুষ্কৃতী রূপচাঁদকে অনেকক্ষণ ধরে নজরে রেখেছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তারপর ফাঁকা জায়গায় দেখতে পেয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়।
আমডাঙা: ভরসন্ধ্যায় যখন মানুষের উপস্থিতিতে গমগম করছে বাজার, তার মধ্যেই বোমা মেরে পালিয়ে যায় কেউ বা কারা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলের। খুনের প্রকৃত কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট না হলেও বেশ কতগুলি দিক উঠে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম কামদেবপুর হাট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কামদেবপুর হাটেরই একটি দোকানে বসেছিলেন রূপচাঁদ। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমার আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এই হাটের ভূমিকা বড় হয়ে উঠছে, কারণ হাটের দখলদারি নিয়ে শাসক দলের দুই পক্ষের বিবাদ ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এক পাশে রয়েছে আমডাঙা পঞ্চায়েত আর ও উল্টো দিকে বোদাই পঞ্চায়েত। ওই হাটে বিপুল মানুষের সমাগম হয়, চলে প্রচুর টাকার লেনদেন। সেখান থেকে যে লাভ উঠে আসে, তার ভাগ নিয়েই এই অন্তর্দ্বন্দ্ব। এই বিবাদ দীর্ঘদিনের। আর রূপচাঁদ মণ্ডল খুন হওয়ার পর আর একবার চর্চায় উঠে এসেছে সেই বিবাদ।
পারিবারিক কোনও শত্রুতা ছিল কি না, সেই দিকটাও নজরে রেখে পুলিশ। এই ঘটনার পর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটা বিশাল টিম ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের অনুমান রূপচাঁদ মণ্ডলকে চিহ্নিত করে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই বোমা মারা হয়েছে। দুজন দুষ্কৃতী রূপচাঁদকে অনেকক্ষণ ধরে নজরে রেখেছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তারপর রাস্তার এক প্রান্তে ফাঁকা জায়গায় দেখতে পেয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এরপর রূপচাঁদ মণ্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজনা বাড়ে। রূপচাঁদের অনুগামীরাও বোমা মারতে শুরু করেন বেশ কয়েক জায়গায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রাতেই পুলিশ সব বোমা উদ্ধার করে। রাতেই পুলিশ রূপচাঁদের শরীর থেকে পড়ে থাকা রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠায়। এদিকে, যে জায়গা দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানেও পড়ে রয়েছে বোমা।