হনুমানের মৃত্যুতে শোকাহত গ্রাম, আত্মার শান্তি চেয়ে হল শ্রাদ্ধানুষ্ঠান!
দিলীপ গুছাইত বলেন, "বাজার থেকে বাড়ি ফিরলে কিছু ফলমূল হনুমানের জন্য আনা চাই,নইলে হনুমানটি একেবারে বাচ্চাদের মতো আড়ি করত। আমরা ওকে বাড়ির ছেলের মতোই দেখতাম।"
দাসপুর: কখনও কখনও এমনও হয়। দাসপুরে সারা গ্রামের প্রিয় হয়ে উঠেছিল একটি হনুমান (Monkey)। তার মৃত্যুতেই শোকাহত গ্রামবাসী। মৃত্যুর ১১ দিনের মাথায় আয়োজন হল করা হল শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের। ব্রাহ্মণ ভোজনের পাশাপাশি বালক ভোজন এবং গ্রামবাসীদের মধ্যাহ্ন ভোজনেরও আয়োজন ছিল। ঘটনা দাসপুর ১ ব্লকের পার্বতীপুরের গুছাইত পাড়ার।
ওই পাড়ার বাসিন্দা জয়দেব মান্না জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এক হনুমান তাঁদের পাড়ায় বসবাস শুরু করেছিল। পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে হনুমানটির একেবারে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে যায়। পাড়ার অপর এক বাসিন্দা দিলীপ গুছাইত বলেন, “বাজার থেকে বাড়ি ফিরলে কিছু ফলমূল হনুমানের জন্য আনা চাই,নইলে হনুমানটি একেবারে বাচ্চাদের মতো আড়ি করত। আমরা ওকে বাড়ির ছেলের মতোই দেখতাম।”
পাড়ার বাসিন্দা কল্পনা গুছাইত চোখের জল আটকাতে পারছিলেন না। তিনি বলেন,”বেশ কাটছিল,কিন্তু হঠাৎই গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৭ শে ডিসেম্বর সকালে পাড়ার এক গাছের তলায় সবার প্রিয় হনুমানের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে সারা পাড়ায় যেন পাহাড় ভেঙে পড়ে।”
আরও পড়ুন: তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলেই আছি, জল্পনায় জল ঢাললেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক
ঠিক কী কারণে হনুমানের মৃত্যু জানা যায়নি। পাড়ার সবাই মিলে ওই দিন দুপুরে হিন্দু মতে হনুমানটির সৎকারের ব্যবস্থা করেন। অবশেষে হনুমানের আত্মার শান্তিতে আজ একেবারে ব্রাহ্মণের মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যদিয়ে হনুমানের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হল। আলোচনা চলছে পাড়ায় হবে প্রিয় হনুমানের স্মৃতি মন্দির।