মানস ‘রাবণ’, মমতা ‘সূর্পনখা’ জোড়া নিশানা শুভেন্দু-ভারতীর
শুধুই রাবণ বলে কটাক্ষই নয় চোর বলেও তাঁকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও ভারতী ঘোষ।
সবং: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করল বিজেপি। সবং মানস ভুঁইয়ার খাসতালুক। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুধুই রাবণ বলে কটাক্ষই নয় চোর বলেও তাঁকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও ভারতী ঘোষ।
বুধবার সবং থানার তেমাথানিতে মানস ভুঁইয়ার নাম করেই বিজেপির সভায় শুভেন্দু অধিকারী ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন পুলিস সুপার তথা বর্তমানে রাজ্যের বিজেপির সহ সভাপতি ভারতী ঘোষ জানান, এখানে একজন রাবণ আছে। যিনি কেলেঘাই নদী সংস্কারের টাকা মেরেছেন। চিট ফান্ডের টাকা নিয়েছেন। আজ তিনি ঘরে বসে টিভিতে আমাদের সভা দেখতে দেখতে ভাবছেন, কী করে মানুষের ক্ষতি করা যায়, জমি হাতানো যায়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই রাবণকে পরাস্ত করে সবং-এ রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ভারতী ঘোষের বিস্ফোরক অভিযোগ, উনি ভেবেছেন যে টাকা চুরি করে, চিট ফান্ডের টাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়ে বেঁচে যাবেন। বাঁচবেন না। সিবিআই আপনার দরজায় আসবে। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক। এরপর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হন।
২০১৭ সালে এই কেন্দ্রে বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী, তাঁর স্ত্রী গীতা রানি ভুঁইয়া জয়ী হন। গীতা রানি ভুঁইয়ার জয়ের পিছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই সময় পুলিস সুপার হিসাবে থাকা ভারতী ঘোষের সঙ্গে সংঘাত হয় তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
যার জেরে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন ভারতী ঘোষ। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সেদিন এই শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে এই রাবণের স্ত্রীর নির্বাচনে জেতা হতো না। আর ভারতী ঘোষ বলেন, “সেই নির্বাচনে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।”
আরও পড়ুন: তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলেই আছি, জল্পনায় জল ঢাললেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক
বিজেপিতে যোগদানের পরে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, যে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার পঁয়ত্রিশটি আসনেই জয় লাভ করার লক্ষ্য তাঁর। এদিনও জানিয়েছেন যে এই এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সম্পূর্ণ সাফ করে দিতে চান তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসকে ফুটো নৌকার সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” ফুটো নৌকায় জল ঢুকছে । এই প্রতারক সরকারকে উৎখাত করতে হবে ।” ভারতী ঘোষ একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলেছিলেন সেই তিনি এদিন বলেন, “নবান্নে বসে আছে সূর্পনখা। তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে।”