Malda News: বাচ্চার সামনেই বাবা-মায়ের এমন কাণ্ড! মুখ চাওয়াচায়ি করছেন প্রতিবেশীরা
Maldah News: পিন্টুর আগেও বিয়ে হয়। সেই বৌও আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
মালদহ: ঘরের ভিতর চিৎকার করে কেঁদে চলেছে পাঁচ মাসের শিশু। কান্না শুনে দরজা ধাক্কা দেন দাদু। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় এরপরই সন্দেহ হয় ওই বৃদ্ধের। জানলার ফাঁকে নজরে রাখতেই দেখেন ছেলে ঝুলছে, বিছানায় পড়ে বৌমা। এরপরই পড়শিদের ডাকেন বৃদ্ধ। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে যুগলের দেহ উদ্ধার করে। মালদহের (Maldah Suicide) মানিকচক ব্লকের গোবর্ধনটোলা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। নিহতদের নাম পিন্টু পাল ও প্রিয়াঙ্কা পাল। দেড় বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। পাঁচ মাসের একটি সন্তানও আছে। বাবা মন্টু পাল ছেলে পিন্টু, বৌমা প্রিয়াঙ্কা ও ছোট্ট নাতিকে নিয়ে থাকেন গোবর্ধনটোলার বাড়িতে। তিনি বলেন, কোনওদিন কোনও ঝামেলার কথা শোনেননি। তবে এর আগেও ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানান। সেই বৌমাও আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এরপর ফের ছেলের বিয়ে দেন। এবার ছেলে-বৌমা দু’জনই আত্মঘাতী হন বলে জানান তিনি।
মন্টু পালের কথায়, “কী কারণে এরকম হল জানি না। ঘরে তো আমরা তিনজনই থাকি। আমি, ছেলে, ছেলের বৌ। ওরা এক ঘরে থাকে, আমি পাশের ঘরে থাকি। দেড় বছর হয়েছে ছেলের বিয়ের। ওদের মধ্যে কোনও সমস্যা রয়েছে, এমন কিছু আমি তো দেখিনি। এবার ভিতরের বিষয় তো জানি না। রাতে বাচ্চাটা চিৎকার করছে শুনি। গিয়ে দেখি ঝুলছে। রাতে পুলিশ আসে। তারাই দরজা ভেঙে দেহ দু’টো উদ্ধার করে।”
পিন্টু মাটি কাটাকাটির কাজ করতেন। ঘরে বৌ, বাচ্চা, বাবা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ পিন্টুর বাবা এলাকার লোকজনকে ডেকে আনেন। পাশেই থাকেন দাদা, তাঁকেও খবর দেন। এরপর সকলে এসে দেখেন এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য। রাত তখন প্রায় ১১টা। এরপরই থানায় ফোন করে সবটা জানানো হয়।
এদিকে এই ঘটনার পর প্রিয়াঙ্কার বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হলে তাঁরাও আসেন। যদিও তাঁদের বক্তব্য অন্য। প্রিয়াঙ্কার মা জানান, মেয়ে তাঁদের বলেছিল, শ্বশুর বৌমার হাতের খাবার খেতে চান না। ছেলে রান্না করলে তবে খান। এমনকী শ্বশুর বৌমাকে এই সংসারে টিকতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার মায়ের। পুলিশ দেহ দু’টি পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে। এরপরই মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ।