Panchayat Elections 2023: তরুণ মাইতির বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রির অভিযোগ, পাল্টা আইনি নোটিস তৃণমূল জেলা সভাপতির
Bengal Panchayat Election: সুধাংশু জানা নির্দল হয়ে ভোটে লড়ছেন। এদিকে দল তাঁকে বহিষ্কার করার পরই তিনি তোপ দাগেন জেলা সভাপতির দিকে। অভিযোগ তোলেন, জেলা সভাপতিকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়নি।
পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সে কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের। টাকার বদলে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার তিন নেতা। তাঁদের দাবি, ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। যদিও পাল্টা কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে বহিষ্কৃতদের। নাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার এ নিয়ে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই বলেছিল, দলের নির্দল কাঁটাদের উপড়ে ফেলা হবে। সেইমতো রাজ্যজুড়ে চলছে বহিষ্কার পর্ব। ১ তারিখই এগরা-১ ব্লকের জুমকি তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এক নির্দল প্রার্থী-সহ তিনজন দলীয় নেতাকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বিজনবিহারী সাহু। তালিকায় আছেন ব্লকের জুমকি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান উদয়শঙ্কর সর, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ঈশিত দে ও সুধাংশু জানা।
সুধাংশু জানা নির্দল হয়ে ভোটে লড়ছেন। এদিকে দল তাঁকে বহিষ্কার করার পরই তিনি তোপ দাগেন জেলা সভাপতির দিকে। অভিযোগ তোলেন, জেলা সভাপতিকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়নি। নির্দল প্রার্থীর এ হেন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। সুধাংশু জানা বলেন, “তরুণবাবুরা আজকে কাটমানির খেলা খেলছেন। গভীর চক্রান্ত করে আমাকে টিকিট দেওয়া হল না। অর্থের বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হয়েছে। আমি তারই প্রতিবাদ জানিয়েছি। জেলা সভাপতি টোটাল টাকাটাই ডিল করেছে। ওনাকে আদর্শবান শিক্ষক মনে করতাম। কিন্তু উনি যা করলেন। প্রমাণ হয়ত দিতে পারব না। তবে শুনেছি ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গ্রামপঞ্চায়েতে টিকিট বিক্রি হয়েছে। জুমকিতে চারটি টিকিট বিক্রি হয়েছে।”
এই সুধাংশু জানার নামেই আইনি নোটিস গিয়েছে। তরুণ মাইতি বলেন, “ওনাকে প্রমাণ করতে বলুন। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে উনি প্রমাণ করুন। একটা মানুষের রাজনৈতিক চরিত্র বলে কিছু নেই। প্রথমে তৃণমূল করতেন, শিশিরবাবু তাড়িয়েছিলেন। এরপর সিপিএমে গেলেন। এরপর বিজেপি করলেন। ব্লক সভাপতিকে ধরে আবার আমাদের দলে ঢোকেন। ব্লক কমিটির সদস্যও করি। আমরাও পরীক্ষা করে দেখছিলাম উনি কতটা দলের প্রতি অনুগামী। এরকম যিনি বারবার দল বদল করেন, তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী করা যায় না। আমরা যেটা ভেবেছিলাম, সেটাই ঠিক। দলের প্রতি তাঁর কোনও আনুগত্য় নেই।”