দিদির ওড়না গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মঘাতী’ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় নিজের ছেলেকে একটু বকাঝকা করেছিলেন শঙ্কর। অভিমানে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় শুভজিৎ। সকলের অলক্ষ্যেই দিদির ওড়না গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের মধ্যেই ‘আত্মহত্যা’ করে শুভজিৎ।

দিদির ওড়না গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মঘাতী’ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Updated on: Feb 05, 2021 | 8:50 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : পড়াশোনা না করায় ছেলেকে বকাঝকা করেছিলেন বাবা। অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ (Suicide) বছর দশের ছেলের। থমথমে ক্যানিংয়ের অঙ্গদবেড়িয়া গ্রাম।

মৃত শুভজিৎ মণ্ডলের বাবা শঙ্কর মণ্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রী। অভাবের সংসারে স্ত্রী ছাড়া আছেন শুভজিতের দিদি। বাড়ির একমাত্র ছেলে হওয়ায় খুবই আদরের ছিল শুভজিৎ। দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল সে। হঠাৎ তার ‘আত্মহত্যা’ (Suicide) করার মতো কী এমন ঘটল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন।

আরও পড়ুন : ৫ টাকার জন্য দুধের শিশুকে খুন বাবার

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় নিজের ছেলেকে একটু বকাঝকা করেছিলেন শঙ্কর। অভিমানে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় শুভজিৎ। সকলের অলক্ষ্যেই দিদির ওড়না গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের মধ্যেই ‘আত্মহত্যা’ করে শুভজিৎ। অনেকক্ষণ ছেলের সাড়া না পেয়ে হঠাৎ জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত শুভজিৎকে দেখতে পান বাবা শঙ্কর। তড়িঘড়ি ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।

আরও পড়ুন : জামিনে মুক্তি পেয়েই নির্যাতিতার ৪ বছরের ভাইঝিকে ধর্ষণ করে খুন করল ‘ধর্ষক’

ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা শুভজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।