সামনে দিয়ে চলে গেল ‘বঙ্গধ্বনি’, ভাঙা বাড়ির সামনে বসে চোখের জল ফেললেন চম্পা বাগদি

র্ষার সময় খড়ের ছাউনি থেকে জল পড়ে বাড়িতে। ত্রিপল দিয়ে জল আটকে বহু কষ্টে বসাবস করেন মা ছেলে। এদিনে 'বঙ্গধ্বনী' যাত্রায় তাঁদের পাড়ায় আসা নেতাদের কাছে তিনি তাঁর বাড়ি তৈরির দাবি জানিয়েছেন

সামনে দিয়ে চলে গেল 'বঙ্গধ্বনি', ভাঙা বাড়ির সামনে বসে চোখের জল ফেললেন চম্পা বাগদি
সামনে দিয়ে চলে গেল 'বঙ্গধ্বনি', ভাঙা বাড়ির সামনে বসে চোখের জল ফেললেন চম্পা বাগদি
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2020 | 11:58 PM

পূর্ব বর্ধমান: নিজের দুর্দশার কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন চম্পা বাগদি। নিজের ভাঙা জরাজীর্ণ বাড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন, এলাকার অনেকেই ঘর পেল। কিন্তু তিনি অসহায় হওয়ায় সত্ত্বেও সরকারি প্রকল্পে ঘর পেলেন না।

পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের পোতনা পুরষা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাষাপুর গ্রামের বাসিন্দা বিধবা চম্পা বাগদি। ছোট ছেলে প্রবীর বাগদিকে নিয়ে বসাবাস করেন তিনি। পাঁচ বছর আগে প্যারালাইসিস হয়ে মারা গিয়েছেন স্বামী মধুসূদন বাগদি। ছোট ছেলে প্রবীর বাগদি পড়াশোনা বন্ধ করে দিনমজুরের কাজ করে। আর তাতেই সংসার চলে।

পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইসিস থাকার পর ২০১৫ সালে মারা যান চম্পাদেবীর স্বামী। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে বিয়ে করে ভিন্ন হয়ে যায়। তখন থেকে ছোট ছেলেকে বহু কষ্টে মানুষ করেছেন। তারপর মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন নিজে। বছর খানেক আগে ছোট ছেলে প্রবীর মাধ্যমিক পাশ করলেও অভাবের তাড়নায় বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর পড়াশোনা। বর্তমানে ছোট ছেলে মাঠে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলায়। দু’বেলা ভালো করে পেট ভরে না।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু জের: জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, কোথাও ছবিতে কালি, কোথাও জুতোর মালা!

অভাবের সংসারে জরাজীর্ণ বাড়ি মেরামত করার সামর্থ্য নেই তাঁদের। চম্পাদেবী জানান, বর্ষার সময় খড়ের ছাউনি থেকে জল পড়ে বাড়িতে। ত্রিপল দিয়ে জল আটকে বহু কষ্টে বসাবস করেন মা ছেলে। এদিনে ‘বঙ্গধ্বনী’ (Bangadhhoni) যাত্রায় তাঁদের পাড়ায় আসা নেতাদের কাছে তিনি তাঁর বাড়ি তৈরির দাবি জানিয়েছেন। এর আগে বহু বার স্থানীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। পঞ্চায়েতেও গেছেন। তবুও মেলেনি কোনও সুরাহা। নিজের ভিটেটুকু থাকলেও মাথা গোঁজার জন্য একটা ঘর খুবই প্রয়োজন তাঁর। কাঁদতে কাঁদতে বলেন চম্পাদেবী।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি জাকির হোসেনকে এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বলেন, আমরা তাঁর বাড়ি গিয়েছিলাম। বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা চম্পা বাগদির নাম নথিভুক্ত করেছি। তাঁর বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: ঘড়িতে ১১টা ৩ মিনিট হতেই শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরলেন শুভেন্দু! কারণ আছে, বলছেন অনুগামীরা