North 24 Parganas News: ভুয়ো সরকারি ওয়েবসাইট তৈরি করে বালি তোলার ছাড়পত্র, গ্রেফতার যুবক
বিভিন্ন সরকারি ওয়েব পোর্টাল নকল করে দীপক অবৈভাবে বালি তোলায় জড়িত। এর ফলে একদিকে যেমন রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে, অপরদিকে অতিরিক্ত বালি উত্তোলনে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
বিধাননগর: অবৈধভাবে নদী থেকে বালি বা জমি থেকে মাটি তোলার ঘটনা রাজ্যে নতুন কিছু নয়। তবে একেবারে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে বালি তোলা ও বালি তোলার ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিধাননগরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশের তদন্তে খড়্গপুর থেকে গ্রেফতার হল অভিযুক্ত। শনিবারই তাকে বিধাননগর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম দীপক ঘোষ। তিনি বিভিন্ন সরকারি ওয়েব পোর্টাল নকল করে অবৈভাবে বালি তোলার অনুমতি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন জেনারেল ম্যানেজার শমিক পানিগ্রাহীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে খড়্গপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন দীপককে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন জেনারেল ম্যানেজার শমিক পানিগ্রাহী বিধাননগর সাইবার শাখায় দীপক ঘোষের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি ওয়েব পোর্টাল নকল করে দীপক অবৈভাবে বালি তোলায় জড়িত। এর ফলে একদিকে যেমন রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে, অপরদিকে অতিরিক্ত বালি উত্তোলনে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিধান নগর সাইবার শাখার পুলিশ গত ৭ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বিলালকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি এমসিএ উত্তীর্ণ শৌভিক চ্যাটার্জীকে বর্ধমানের কাটোয়া থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সময়ে শৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে খড়গপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় দীপক ঘোষকে।
তদন্তে নেমে সাইবার শাখার পুলিশ জানতে পেরেছে,অভিযুক্ত দীপক ঘোষ শুধু সরকারি জাল ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা নয়, সেই ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করে কাঁসাই নদী থেকে বিপুল পরিমাণে অবৈধভাবে বালির উত্তোলন করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা জাল নথি তৈরি করা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে, সেটা জানতেই দীপককে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মেনে তাকে ৫ দিনের জেল হেফাজত দেয় বিধাননগর আদালত।