হিন্দু মন্দির ভাঙার অভিযোগে পাকিস্তানে গ্রেফতার ১০০ জন
উত্তেজিত জনতা মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে এবং পরে সেখানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিস।
পেশোয়ার: পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখায় হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনায় আরও ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পাক পুলিস। যার ফলে এখন টেররি গ্রামের হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা হল ১০০।
গত বুধবার জমিয়েত উলেমা-ই-ইসলাম সংগঠনের একটি জমায়েতের ঘণ্টাখানেকের পরই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখার করক জেলার টেররি গ্রামের হিন্দু মন্দিরে ভেঙে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে এবং পরে সেখানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিস।
আগেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ভারত। তারপর দিল্লি থেকে কার্যত সরকারিভাবেও প্রতিবাদ বার্তা পৌঁছেছে পাকিস্তানে। হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩৫০ জনের বেশি অভিযুক্তর নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে সে দেশে হিন্দুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হদ কাদরি টুইট করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। পাকিস্তানের যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয় সচিব লাল চন্দ মলহি খাইবার পাখতুনখোয়ায় মন্দির ভাঙার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “এটা অসামাজিক কার্যকলাপ।”
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসা: ট্রায়াল আগেই অনুমোদন কোভ্যাকসিনকে! জেনে নিন সব ভ্যাকসিনের সর্বশেষ পরিস্থিতি
এর আগেও একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে ভারত। খাইবার পাখতুনখারে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনার ফের সামনে এল সে দেশে হিন্দুদের মানবাধিকারের সওয়াল। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।