২৪,০০০ বছরের ‘ঘুম’, বরফের তলায় জেগে উঠল সে, চালাচ্ছে বংশবিস্তার
বিজ্ঞানীরা অবশ্য এটিকে শীতঘুমের আদলেই দেখছেন। কিন্তু ২৪ হাজার বছরের শীতঘুমও বিস্ময়কর।
সাইবেরিয়া: গল্প নয় এক্কেবারে সত্যি। রূপকথার রিপ ভ্যান উইঙ্কেল কিংবা কুম্ভকর্ণের থেকেও লম্বা ঘুম। ১০, ২০, ৫০ নয় একেবারে ২৪ হাজার বছরের ঘুম। অবশেষে ঘুম ভাঙল। ২৪ হাজার বছরের ঘুম কাটিয়ে সাইবেরিয়ার (Siberia) বরফের তলায় জেগে উঠল রোটিফার। মানুষের মতোই বহুকোষী প্রাণী এই রোটিফার। তবে খালি চোখে এদের দেখা যায় না। বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল সর্বোচ্চ ১০-১২ বছর শীরঘুম দেয় এরা। সেই ধারণা ভেঙে ২৪ হাজার বছর ঘুমিয়েছিল সাইবেরিয়ায় রোটিফাররা। জেগেই পুরোদমে শুরু করেছে বংশবিস্তারের কাজ। কিন্তু কী করে এতদিন বেঁচে থাকল, তা জানতে রাশিয়ার পরীক্ষাগারে চলছে গবেষণা।
রাশিয়ার বিজ্ঞানী স্তাস মালভিন বরফের স্তর নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে খোঁজ পেয়েছেন এই রোটিফারের। এদের শরীরে চাকার মতো অংশ থাকে। তাই বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘চাকা প্রাণী’ বলেও সম্বোধন করেন। বিজ্ঞানী স্তাস বরফ খুঁড়ে এই রোটিফারের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মানুষ সাধারণত সর্বোচ্চ কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকতে পারে, সেখানে এই প্রাণীর ২৪ হাজার বছরের ঘুমে স্তম্ভিত সারা বিশ্ব।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য এটিকে শীতঘুমের আদলেই দেখছেন। কিন্তু ২৪ হাজার বছরের শীতঘুমও বিস্ময়কর। সেই শীতঘুমের পর্দাফাঁস করতে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। শুরুতে যে রিপ ভ্যান উইঙ্কেলের উল্লেখ ছিল। সে মার্কিন লেখক ওয়াশিংটন আর্ভিংয়ের রূপকথার চরিত্র। একদিন পাহাড়ে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। আর ঘুম ভেঙে দেখে তাঁর বন্দুকে মরচে ধরেছে। গ্রামে ফিরে দেখে বিস্তর ফারাক। জর্জ ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে কেটে গিয়েছে অনেক বছর। কার্যত সেই রূপকথা সত্যি হল রোটিফারের দৌলতে।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ১০ সন্তানের জন্ম, বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার দাবি মহিলার