Netherlands: মা কাজে ব্যস্ত, সেই ফাঁকেই গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল চার বছরের খুদে, একটু এগোতেই…

Netherlands: মায়ের অজান্তেই চার বছরের ওই খুদে গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছিল। ভেবেছিল অনেক দূরে কোথাও ঘুরতে যাবে, গুটি গুটি পায়ে তাই ঘরের জামা পরেই হাতে গাড়ির চালি নিয়ে রওনা দিয়েছিল সে।

Netherlands: মা কাজে ব্যস্ত, সেই ফাঁকেই গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল চার বছরের খুদে, একটু এগোতেই...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2022 | 8:30 AM

নেদারল্যান্ড: গাড়ির চাবি হাতছাড়া করলেই বিপদ। যেকোনও সময়েই খোয়া যেতে পারে আস্ত গাড়িটাই। বাইরের চোরের থেকে সতর্ক তো সকলেই থাকেন, কিন্তু বাড়ির ভিতরেই যদি কোনও চোর ঘাপটি মেরে বসে থাকে, তাহলে কী করবেন? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এক খুদেই তাঁর পরিবারকে হাড়ে হাড়ে শিক্ষা দিয়েছে যে অসতর্কভাবে বা হাতের নাগালে গাড়ির চাবি রাখলে কী ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে! মায়ের অজান্তেই গাড়ি নিয়ে রওনা দিল ছেলে। ভাবতেই পারেন যে, এতে অস্বাভাবিক কী রয়েছে? তার কারণ হল ছেলের বয়স মাত্র চার।

মায়ের অজান্তেই চার বছরের ওই খুদে গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছিল। ভেবেছিল অনেক দূরে কোথাও ঘুরতে যাবে, গুটি গুটি পায়ে তাই ঘরের জামা পরেই হাতে গাড়ির চালি নিয়ে রওনা দিয়েছিল সে। লাফালাফি করে কোনওমতে দরজাও খুলে ফেলল। বাবার পাশে বসে যেভাবে গাড়ি স্টার্ট করতে হয়, সেভাবেই গাড়িও স্টার্ট করল সে। কিন্তু খুদে পা তো আর গিয়ার-ক্লাচে পৌঁছয় না, তাই পরপর দুটো গাড়িতে ধাক্কা মেরেই থেমে যেতে হল। ঘটনাটি ঘটেছে নেদারল্যান্ডের উটরেচে।

পুলিশের কোলে ওই খুদে।

সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে ধাক্কা মারতেই বেজে ওঠে গাড়ির অ্যালার্ম। বয়স চার হলে কী হবে, বিপদ সঙ্কেত ঠিক বুঝতে পারে ওই খুদে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির দরজা খুলে ফের খালি পায়ে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগায় সে। কিন্তু পথচলতি এক ব্যক্তির নজরে গোটা বিষয়টি পড়ায়, মা-বাবার কাছে ধরা পড়ে যায় খুদের দুষ্টুমি। বাচ্চাটি একা হারিয়ে গিয়েছে ভেবে ওই ব্যক্তি উদ্বেগে পুলিশেও খবর দেন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। ওই খুদেকে নিয়ে থানায় যাওয়া হয়। হট চকোলেট খাইয়ে ও টেডি বিয়ার দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মনও ভোলানো হয়। জানতে চাওয়া হয় তাঁর মা-বাবার সম্পর্কে। কিন্তু ওই খুদে তো তাঁর মা-বাবাকে ‘মম-ড্যাড’ বলেই চেনে। তাদের যে অন্য কোনও নাম থাকতে পারে, সে তা বিশ্বাসই করতে পারছিল না। শেষ অবধি ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির নম্বর প্লেট খতিয়ে দেখে জানা যায় যে, ওই শিশুটির মায়ের নামে গাড়িটি রেজিস্টার করা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ফোন করে গোটা ঘটনাটি জানানো হয় এবং থানায় আসতে বলা হয়।

পুলিশের তরফে উপহার।

পরে মায়ের সামনেই শিশুটিকে প্রশ্ন করলে সে জানায়, সকালে বাবা অফিসের জন্য বেরতেই সকলের অলক্ষ্যে সে-ও টেবিলের উপরে পড়ে থাকা মায়ের গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। কীভাবে গাড়ি স্টার্ট দিতে হয়, স্টিয়ারিং ঘোরাতে হয়- সবই থানার টেবিলে বসে দেখায় সে। এদিকে, বাচ্চাটির মা জানান, ছেলেকে ঘরে দেখতে না পেয়েই তিনি গোটা এলাকা খুঁজতে বের হন। পার্কিং থেকে যে নিজের গাড়ি উধাও ছিল, তা খেয়ালও করেননি তিনি।