১৮০০ বছরের পুরনো সম্পদ খুঁজে পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, সামনে এল ৪০০ কবর

তুরস্কের এই গুহাগুলিতে সার্কোফ্যাগী নামের একটি প্রক্রিয়া করা হত। সার্কোফ্যাগী শব্দের অর্থ গুহার মধ্যে রাখা মৃত প্রাণী বা মানুষের দেহ। প্রচলিত মত অনুযায়ী, মারা যাওয়ার পর মানুষের আত্মা এই সমাধিক্ষেত্রে ততদিন বিশ্রাম নেয়, যতদিন না তাদের দ্বিতীয় জন্ম হয়। ফলে ওই সমাধিক্ষেত্রে সেই মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও রাখা হত।

১৮০০ বছরের পুরনো সম্পদ খুঁজে পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা, সামনে এল ৪০০ কবর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 5:20 PM

তুরস্কে পুরাতত্ত্ববিদরা এক বহুমূল্য সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন। এই সম্পদ আলেকজান্ডারের সময়কালের। ঐতিহাসিকরা এখানে পাথর কেটে তৈরি ৪০০ সমাধি খুঁজে পেয়েছেন। জানা গিয়েছে এই কবরস্থান প্রায় ১৮০০ বছরের পুরনো। এই কবরস্থানেক দেওয়ালে রয়েছে সুন্দর ওয়াল পেন্টিং। এছাড়াও এখান থেকে পাওয়া গিয়েছে বহুমূল্য জিনিসপত্রও। স্থানীয় মানুষজন এই আবিস্কারকে গুপ্তধন বলে অভিহিত করছে।

আরও জানা গিয়েছে যে রোমান সাম্রাজ্যের সময়কালের পাথর কেটে তৈরি হয়েছে এই কবরখানা। তুরস্কের এজিয়ান সাগরের পূর্বদিকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক শহর ব্লানডোসে পাওয়া গিয়েছে এই কবরস্থানটি। তুরস্কের এই শহরটি আলেকজান্ডারের সময় বিকশিত হয়েছিল। রোমান এবং বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের সময়কাল পর্যন্ত এই শহরে স্বর্ণযুগ চলেছিল।

তুরস্কের এই গুহাগুলিতে সার্কোফ্যাগী নামের একটি প্রক্রিয়া করা হত। সার্কোফ্যাগী শব্দের অর্থ গুহার মধ্যে রাখা মৃত প্রাণী বা মানুষের দেহ। প্রচলিত মত অনুযায়ী, মারা যাওয়ার পর মানুষের আত্মা এই সমাধিক্ষেত্রে ততদিন বিশ্রাম নেয়, যতদিন না তাদের দ্বিতীয় জন্ম হয়। ফলে ওই সমাধিক্ষেত্রে সেই মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও রাখা হত।

তুরস্কের ইউসাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ববিদ বিরোল ক্যান এই খনন কার্যের নেতৃত্ব দেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সামাধিক্ষেত্রের ভেতর পরিবারতন্ত্র ছিল। অর্থাৎ একটি সমাধি গুহা বা তার বেশি গুহায় কোনও একটি পরিবারের এবং বাকিগুলি অন্য কোনও পরিবারের সমাধিক্ষেত্র ছিল। বিরোল ক্যান আরও জানিয়েছেন, পুরাতত্ত্ববিদরা নেক্রোপলিসের ব্যাপারে ১৫০ বছর ধরে জানতেন, কিন্তু ব্লানডোসে কখনও সঠিকভাবে খননকার্য করা হয়নি। বিরোলের মতে এখনও এই শহরের নীচে বেশকিছু ধার্মিক, সার্বজনিক এবং নাগরিক কাঠামো রয়েছে। এগুলির খোঁজ করা বাকি রয়ে গেছে।

বিরোলের নেতৃত্বে তাঁর দল এখানে চার রকমের সামাধিক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছেন। এখনে একটি ঘর সম্বলিত সমাধি ক্ষেত্রও রয়েছে। এমনকি কিছু বেশকিছু দু্র্দান্ত ঘর সম্বলিত সমাধিক্ষেত্রও রয়েছে। এই ঘরগুলি একটি ছন্দে বা এক সমান্তরালে তৈরি করাও নয়। প্রথমে একটি ঘর তৈরি করা হত, তারপর প্রয়োজন পড়লে পাশের পাথর কেটে অন্য ঘর তৈরি করা হত। তারপর তা প্রথম ঘরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হত। এইভাবে অন্তিম সংস্কার করার জন্য বেশি জায়গা তৈরি হয়ে যেত। এইভাবেই দুই কামরা, তিন কামরা এবং চার কামরা সম্বলিত সমাধিক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Police: নেতাকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ, তির-ধনুক-ত্রিশূল উঁচিয়ে থানা ঘেরাও আদিবাসীদের