Pakistan Violence: হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ৫৪০ নেতা-সহ ইমরানের দলের প্রায় ২৮০০ কর্মী গ্রেফতার
PTI: পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-কর্মীরা। ভাঙচুর চালিয়েছেন সরকারি সম্পত্তি থেকে সরকারি, বেসরকারি অফিস, বিল্ডিংয়ে। এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশও। ইতিমধ্যেই ইমরানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রায় ৫৪০ জনেরও বেশি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পাক পুলিশ।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারির পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁর সমর্থকরা। পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-কর্মীরা। ভাঙচুর চালিয়েছেন সরকারি সম্পত্তি থেকে সরকারি, বেসরকারি অফিস, বিল্ডিংয়ে। এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশও। ইতিমধ্যেই ইমরানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রায় ৫৪০ জনেরও বেশি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পাক পুলিশ। শুক্রবার অবধি এই সংখ্যতক পিটিআই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে পাক সংবাদ সংবাদমাধ্যমে। ৯ মে থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে পিটিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ২০৫টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। ইমরানকে গ্রেফতারির পর থেকেই অশান্তির আগুন জ্বলেছে পাকিস্তানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল সে দেশে। তিন দিন বন্ধ থাকার পর পাকিস্তানে ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করেছে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি (পিটিএ)।
ইমরানের গ্রেফতারির পর থেকেই রাস্তায় রাস্তায় পিটিআই সমর্থকদের বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে পাকিস্তান। তাদের ছোড়া ইট, পাথরের আঘাতে প্রচুর পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেফতারিকে অবৈধ বলেছিল। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন পান ইমরান। এর পর উল্লাসে ফেটে পড়েন ইমরান অনুগামীরা। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ইমরানের লাহোরের জামান পার্কের বাড়ির সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
তবে হিংসা ঘটনায় জড়িত থাকা ইমরান সমর্থকদের রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সে দেশের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ প্রধান উসমান আনোয়ার। তিনি বলেছেন, “দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিয়ো রেকর্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে খুঁজে বের করা হবে দোষীদের।” ৫৪০ জনেরও বেশি পিটিআই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নেতা কর্মী মিলে গ্রেফতারের সংখ্যাটা প্রায় ২৮০০ ছুয়েছে।