ডেল্টার দাপাদাপিতে ঘরবন্দি অস্ট্রেলিয়ার ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই, জরুরি বৈঠকের পরই হতে পারে লকডাউন
Delta Variant in Australia: অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ জনগণই লকডাউন বা কোনও প্রকার কোভিড বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছেন। তবে যে হারে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে গোটা দেশজুড়েই ফের লকডাউন জারি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সিডনি: নতুন করে ডেল্টা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই লকডাউন জারি করা হয়েছে সিডনিতে। বাকি অংশগুলিতেও ফের জারি করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এরইমাঝে এ দিন বৈঠকে বসতে চলেছেন অস্ট্রেলিয়ার কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম।
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ জনগণই লকডাউন বা কোনও প্রকার কোভিড বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছেন। তবে যে হারে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে গোটা দেশজুড়েই ফের লকডাউন জারি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এই বিষয়ে ফেডেরাল ট্রেজ়ারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, “আমরা হয়তো করোনা প্যান্ডেমিকের নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছি অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠিন সময়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।” তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের অধীনে জাতীয় নিরপত্তা কমিটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং দেশের করোনা পরিস্থিতি যাচাই করে দেখবেন।
অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে জনবসতিপূর্ণ শহর সিডনিতে আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করা হয়েছে। ডারউইনেও দুইদিনের জন্য শাটডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। কুইন্সল্যান্ড, ব্রিসবেন সহ একাধিক জায়গায় মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্বের মতো সাধারণ কোভিড বিধি পুনরায় আরোপ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, একজন অস্ট্রেলিয়ান কেবিন ক্রু, যিনি ব্রিসবেন, মেলবোর্ন ও গোল্ড কোস্ট সহ পাঁচটি বিমানে ছিলেন, তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শতাধিক যাত্রীর জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Booster Vaccine: ‘বিটা’কে বাগ মানাতে হাজির বুস্টার ভ্যাকসিন, শুরু হল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল