Afghanistan: ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া তালিবান, প্রথমবার টেলিভিশনে মোল্লা ওমরের ছেলে

Mohammad Yaqoob: প্রথমবার কোনও টেলিভিশনে এলেন মোল্লা ওমরের ছেলে তথা তালিব সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুব। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলির কাছে তালিব সরকারের ভাবমূর্তি ঠিক করার জন্যই টেলিভিশনে আবির্ভাব হয়েছেন মহম্মদ ইয়াকুব।

Afghanistan: ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া তালিবান, প্রথমবার টেলিভিশনে মোল্লা ওমরের ছেলে
তালিবান শাসনে আফগানিস্তান (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2021 | 9:33 AM

কাবুল : তালিবান সরকার আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে তালিব সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে, বেশ বিরক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলিতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে তালিবান সরকারের ভাবমূর্তি। আর এরই মধ্যে প্রথমবার কোনও টেলিভিশনে এলেন মোল্লা ওমরের ছেলে তথা তালিব সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুব। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলির কাছে তালিব সরকারের ভাবমূর্তি ঠিক করার জন্যই টেলিভিশনে আবির্ভাব হয়েছেন মহম্মদ ইয়াকুব।

টেলিভিশনে যে ভিডিয়োটি সম্প্রচারিত হয়েছে, সেখানে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুব স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে আবেদন করেছেন, হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলিতে বিনিয়োগ করার জন্য। আবারও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, তালেবানের পুরানো সরকারের কালো ছায়া থেকে বেরিয়ে আলোর পথে আসছে তালিবরা। উল্লেখ্য, এর আগে মোল্লা ওমরের প্রথম তালিব সরকারের সময়ে, তালিবদের শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমর খুব কমই জনসমক্ষে উপস্থিত হতেন এবং তাঁর ছবি তোলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এমনকী ২০১৩ সালে যখন মোল্লা ওমর মারা গিয়েছিল, তখনও প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে খবরটি প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু মার্কিন-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে ২০ বছরের যুদ্ধের পর তালিবান অগস্টের মাঝামাঝি ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, নতুন তালিব সরকারের মন্ত্রীরা অনেক বেশি করে জনসমক্ষে আসছে এবং রাজনৈতিক ভূমিকা নিচ্ছে। এমনকী সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেখা যাচ্ছে তালিব নেতা, মন্ত্রীদের। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরানোর জন্য কতটা মরিয়া তালিব নেতারা।

জনসমক্ষে নির্মমভাবে শাস্তি দেওয়ার নজির রয়েছে আফগানিস্তানে। নতুন করে তালিবান ক্ষমতায় আসার পরও সেই দৃশ্য দেখা গিয়েছে আফগানিস্তানে। তবে এবার তালিবান স্থানীয়ভাবে জনসমক্ষে শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আফগানিস্তানের আদালত যদি জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ না দেয় তাহলে তালিবান কোনও শাস্তি দেবে না বলে জানানো হয়েছে।

তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ একটি টুইটে এই বার্তা দিয়েছেন। মন্ত্রীপরিষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তালিবানের মুখপাত্র লিখেছেন, অপরাধীকে যদি শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সেই শাস্তি কেন দেওয়া হল তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। মুজাহিদ তার টুইটে আরও বলেন, প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবং মৃতদেহ ঝোলানো যাবে না।

গত মাসে, আফগানিস্তানে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা করেছিল আমেরিকা। কিছুদিন আগেই হেরাট প্রদেশে দেখা গিয়েছিল সেই নৃশংস দৃশ্য। শহরের মাঝখানেই ঝুলছিল চারটি মৃতদেহ! তালিবরাজে এভাবেই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হয় আফগানিস্তানে। চার ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে খুন করে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তালিবরা।

আরও পড়ুন : Afghanistan: টাকা নয়, কঠোর শ্রমের পরিবর্তে মিলবে অন্য কিছু! খাদ্যসঙ্কট দূর করতে মরিয়া চেষ্টা তালিবানের