Afghanistan: তালিব যোদ্ধাদের থেকে বাঁচতে আইসিসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আফগান গুপ্তচররা
Afghan spies join ISIS: তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর আফগান গুপ্তচরদের বাড়িতে হানা দিতে শুরু করে। নতুন সরকারের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হতে থাকে। সেই সময় তালিবদের হাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকজন আফগান গুপ্তচর আইসিস খোরাসানে যোগ দেয়।
কাবুল: তালিবান কাবুলের মাটিতে পা রাখার পরই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছিলেন আশরফ গনি। ভেঙে পড়েছিল গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। আর এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গনি সরকারের গুপ্তচরেরা পড়ে যায় বিপাকে। চারিদিকে তাদের খোঁজ করছিল তালিব যোদ্ধারা। খোঁজ পেলেই খুন। সেই সময় তালিবানের একমাত্র শত্রু আইসিস জঙ্গিরা। প্রাণ বাঁচাতে তাই অনেক আফগান গুপ্তচরই ভিড়ে যায় আইসিস জঙ্গিদের দলে। আন্তর্জাতিক এক সংবাদ মাধ্যমে এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর আফগান গুপ্তচরদের বাড়িতে হানা দিতে শুরু করে। নতুন সরকারের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হতে থাকে। সেই সময় তালিবদের হাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকজন আফগান গুপ্তচর আইসিস খোরাসানে যোগ দেয়। এটাই ছিল তাদের বাঁচার একমাত্র পথ। আর সবথেকে চিন্তার বিষয় হল, এই গুপ্তচররা প্রত্যেকে মার্কিন মুলুক দ্বারা প্রশিক্ষিত।
যদিও খুব কম সংখ্যক গুপ্তচরই আইসিস খোরাসানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, কিন্তু তাও একেবারে চিন্তামুক্ত থাকতে পারছে না আমেরিকা। মার্কিন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই গুপ্তচররা আইসিসকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোনও গোপন তথ্য বের করা থেকে শুরু করে রণকৌশল, সবদিক থেকেই আরও শক্তিশালী হতে পারে এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আফগানিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার প্রাক্তন প্রধান রহমতউল্লাহ নাবিলও। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় ওই গুপ্তচরদের কাছে আর কোনও উপায় ছিল না। যদি কোথাও কোনও প্রতিরোধ চলত, তাহলে হয়ত সেই প্রতিরোধে সামিল হত ওই গুপ্তচররা। কিন্তু সেই সময় একমাত্র সশস্ত্র গোষ্ঠী ছিল আইসিস খোরাসান।
এদিকে তালিবান সরকারকে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি তালিবানকে। রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন পরোক্ষভাবে তালিবান সরকারকে সমর্থন জানালেও ‘বড় দাদা’ আমেরিকা কী করে, তার নজর বেশি তালিবানের। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না পেলে আটকে রয়েছে বিপুল অর্থের অনুদান। অগস্টের পর থেকেই এ সব অনুদান বন্ধ হয়ে যায়। পাকিস্তানের মতো দুই একটি দেশ বাদে কারোর থেকে সেভাবে আর্থিক বা অন্যান্য সাহায্য (হিউম্যানটেরিয়ান) মেলেনি।
এই মুহূর্তে ব্যাপক আর্থিক সঙ্কটের মুখে আফগানিস্তান। মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া দাঁড়িয়েছে। দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি হাড়েহাড়ে বুঝতে পেরে স্বীকৃতি পেতে মরিয়া তালিবান। এ দিন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জ়াবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “আমেরিকার কাছে আমাদের বার্তা তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে যত দেরি হবে আফগানিস্তান তো বটেই বিশ্বও সমস্যার মুখে পড়বে।” এই মুহূর্তে যে কোনও সমঝোতার পথে হাঁটতে রাজি বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তালিবান। তাদের দাবি, প্রয়োজনে রাজনৈতিক সমঝোতার পথেও হাঁটতে পারে।
আরও পড়ুন : United Kingdom: ব্রিটেনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত অনেক