ঘানি সরকারের সেনাকর্মীদের নিয়েই উর্দিধারী বাহিনী তৈরি করবে তালিবান

Taliban Army : স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে কারি ফাসিহুদ্দিন জানিয়েছেন, "আমাদের একটি উর্দিধারী এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী দরকার। যাতে আমরা সহজেই নিজেদের দেশকে রক্ষা করতে পারি।"

ঘানি সরকারের সেনাকর্মীদের নিয়েই উর্দিধারী বাহিনী তৈরি করবে তালিবান
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 1:47 PM

কাবুল : আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে তালিবান। তৈরি করা হয়েছে মন্ত্রিসভাও। এবার পাকাপাকিভাবে সেনাবাহিনীও গঠন করতে চাইছে তারা। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তালিব নেতারা। খুব দ্রুত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন তালিব সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন ‘চিফ অব স্টাফ’ কারি ফাসিহুদ্দিন।

এতদিন পর্যন্ত উর্দিহীন কিছু তালিব যোদ্ধার উপর ভরসা করেই চলে আসছিল তালিবান। কিন্তু এবার তাদের হাতে এসেছে রাষ্ট্রক্ষমতা। তাই বাকি দেশগুলির মতো তারাও এখন উর্দিধারী সেনাবাহিনী গঠন করতে চাইছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে কারি ফাসিহুদ্দিন জানিয়েছেন, “আমাদের একটি উর্দিধারী এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী দরকার। যাতে আমরা সহজেই নিজেদের দেশকে রক্ষা করতে পারি।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, এর জন্য প্রাক্তন সেনাকর্মী, যাঁরা আগের সরকারের আমলে কাজ করেছেন, তাঁদের নতুন সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত করা হবে। তালিবান সরকার অভ্যন্তরীণ হোক কিংবা অন্য কোনও দেশ, সবরকম হুমকির বিরুদ্ধে তৈরি থাকতে চায়। এর জন্য যাঁরা যাঁরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, বা যাঁরা আগে পেশাদার সেনায় নিযুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে নতুন বাহিনীতে কাজে লাগাতে চায় তালিবান সরকার। এই সেনাবাহিনী দ্রুত তৈরি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ফাসিহুদ্দিন। আর সেই জন্য প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ফের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বলেছে তালিবান সরকার।

এদিকে আফগানিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তা শাকোরুল্লাহ সুলতানি জানিয়েছেন, প্রায় ৩ লাখ সেনাকর্মী আগামী দিনে কী করবে, তা নিয়ে কিছু একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার তালিবান সরকারের। উল্লেখ্য, আশরাফ গনির সরকারের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের কী হবে, তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলছিলেন আফগান নাগরিকরা। আর ঠিক এই সময়ে তালিবান সরকারের থেকে এই মন্তব্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন আফগান নাগরিকরা।

১৫ অগস্ট তালিবান কাবুল দখল নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। রাজপথ থেকে গলিপথ, সর্বত্র বন্দুকধারী তালিব যোদ্ধা। ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন আফগান নাগরিকরা। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন অনেকে। কাবুল বিমানবন্দরে কাতারে কাতারে ভয়ার্ত মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছিল।

তালিবান সরকারকে অবশ্য একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, তারা আর আগের মতো নেই। কিন্তু মোল্লা ওমরের আমলের সেই নৃশংসতার ছবি এখনও আবছা হয়নি আফগানদের কাছে। তবে তালিবদের নতুন সরকারের এখন আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি দরকার। নতুন সরকার স্বীকৃতি না পেলে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে আফগানিস্তান। আর সেই কারণেই কিছুটা নমনীয় রূপ নিচ্ছে তালিবরা।

আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটসের উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তালিবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশমন্ত্রী মৌলবি আমির খার মুত্তাকি। একইসঙ্গে যে আফগান নাগরিকরা দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন, তাঁদেরও দেশে ফিরে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : ‘শত্রুদের ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে’, মৃত্যুর জল্পনা উড়িয়ে অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন মোল্লা বরাদর