‘তালিবানকে মেনে নিয়েছি, সমর্থন তো করিনি! দু’টোর পার্থক্য রয়েছে’, তালিব-যোগ নিয়ে মুখ খুললেন ঘানির ভাই
Afghanistan: হাসমত মনে করেন, আফগানিস্তানের প্রতি তালিবান এমন কিছু করেনি যা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে।
কাবুল: আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালান প্রধানমন্ত্রী আশরফ ঘানি। এদিকে দু’দিন পরই বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর ভাই হাসমত ঘানির একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, তালিব-শক্তির সঙ্গে বন্ধুতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন হাসমত। যদিও সে ভিডিয়োর সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে এবার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, ‘আমি তালিবানকে মেনে নিয়েছি, কিন্তু সমর্থন করিনি।’
হাসমত ঘানির দাবি, মেনে নেওয়া ও সমর্থন করার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের যা পরিস্থিতি সেখানে একটা স্থিতির খুব দরকার। সর্বক্ষেত্রে না হালে আফগানিস্তানের পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে। হাসমতের কথায়, “আমি তালিবানকে মেনে নিয়েছি ঠিকই কিন্তু সমর্থন করিনি। কাউকে সমর্থন করা খুবই জোরাল একটা শব্দ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কী হয় এখন সেটাই দেখার।” প্রসঙ্গত আফগানিস্তানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর ভাই সে দেশের একজন নামজাদা ব্যবসায়ী।
হাসমত মনে করেন, আফগানিস্তানের প্রতি তালিবান এমন কিছু করেনি যা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। তাঁর দাবি, “ওরা তো বলছে মহিলাদের কাজ করতে দেবে। আমরা তালিবের সিনিয়র লিডারদের থেকে এ কথাগুলি শুনেছি। আমরা আশা রাখব তারা তা করবে।” সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসমত বলেন, “তালিবান নিরাপত্তার বিষয়ে জানে। তারা সেটা অত্যন্ত নিপুনতার সঙ্গেই সামলাবে। তবে সরকারের শুধুমাত্র নিরাপত্তা দেখা কাজ নয়, আরও কাজ রয়েছে। এখানে শিক্ষিত শ্রেণির এগিয়ে আসতে হবে। আমি এখানেই থেকে গিয়েছি। একজন বিজনেস লিডারের ছেড়ে চলে যাওয়া খুবই খারাপ।”
চার গাড়ি ভর্তি টাকা সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তান থেকে চম্পট দিয়েছিলেন আশরাফ ঘানি। কিন্তু তারপর থেকে কোনও ঠিক-ঠিকানা ছিল না তাঁর। তিনি কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে যাচ্ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি। প্রথমে জানা গিয়েছিল, কিন্তু তাজিকিস্তানে পালিয়েছেন। যদিও সেই জল্পনায় দ্রুতই জল পড়ে যায়। তারপর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি আমেরিকায় গা ঢাকা দিলেন ঘানি? কারণ আমেরিকাই তাঁকে আফগান রাষ্ট্রপতির কুর্সি দিয়েছিল। সেই সম্ভাবনাও নস্যাৎ হয় দ্রুতই। এরপর জানা যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি। ‘মানবিকতার খাতিরে’ তাঁকে সে দেশে জায়গা দিয়েছে সরকার।
The brother of Ashraf Ghani has joined Taliban. He pledged his support after meeting Alhaj Khalil ur rehman Haqqani. pic.twitter.com/Wl3SBOMCQp
— Muhammad Jalal (@MJalal700) August 21, 2021
অন্যদিকে আফগানিস্তান জুড়ে চরম যখন চরম অস্থিরতা, তখন নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় আশরফ ঘানির কন্যা মরিয়াম ঘানিকে। তালিবানের কাবুল দখলের কয়েকদিন পরই নিউ ইয়র্কের রাস্তায় দেখা যায় তাঁকে। বছর ৪২-এর বছরের মরিয়াম ব্রুকলিনের রাস্তায় এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছিলেন। ঘানির পরিবারের বাকি সদস্যরা কে কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে খুব বেশি সংবাদমাধ্যমে সামনে আসেনি। তবে এসেছিল হাসমতের একটি ভিডিয়ো। যা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। এবার সে সব নিয়ে মুখ খুললেন হাসমত নিজেই।