Pak-China on Kashmir: ‘কাশ্মীর খালি’ করার হুঁশিয়ারি ভারতের, তড়িঘড়ি পাক বিদেশমন্ত্রী দেশে ফিরে বৈঠক করল চিনের সঙ্গে

ভারতে এসে কড়া বিবৃতির মুখে পড়তে হয়েছিল পাক বিদেশমন্ত্রীকে। পাকিস্তানের মুখে উপর ভারত জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা এক সঙ্গে চালানো সম্ভব নয়। কাশ্মীর প্রসঙ্গেও পাকিস্তানকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ভারতের এই কড়া অবস্থান চিনের কপালেও নতুন চিন্তার ভাঁজ তৈরি করছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

Pak-China on Kashmir: ‘কাশ্মীর খালি’ করার হুঁশিয়ারি ভারতের, তড়িঘড়ি পাক বিদেশমন্ত্রী দেশে ফিরে বৈঠক করল চিনের সঙ্গে
পাকিস্তান ও চিনের বিদেশমন্ত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 3:32 PM

ইসলামাবাদ: গোয়াতে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। সেই বৈঠকে এসেছিলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং। বৈঠক সেরে বিলাওয়াল উড়ে গিয়েছেন ইসলামাবাদে। অন্যদিকে তড়িঘড়ি দু’দিনের পাকিস্তান সফরে চিনা বিদেশমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে চিন ও পাকিস্তানের মুখে। এ ব্যাপারে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে চিন ও পাকিস্তান। সেখানে তারা জানিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ‘রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ, নিরাপত্তা পারিষদের রেজুলিউশন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি’ অনুসারে করা উচিত। প্রসঙ্গত, সিইও বৈঠকের সময়ই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কড়া কথা বলেছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রীকে। জয়শঙ্কর বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশের জবাব দেওয়া উচিত তারা ‘কবে অবৈধ ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের দখল করে রাখা এলাকা খালি করবেন?’ ভারতের এই কড়া বক্তব্যের পরই উদ্বিগ পাকিস্তান ও চিন ওই যৌথ বিবৃতি দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ভারতে এসে কড়া বিবৃতির মুখে পড়তে হয়েছিল পাক বিদেশমন্ত্রীকে। পাকিস্তানের মুখে উপর ভারত জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা এক সঙ্গে চালানো সম্ভব নয়। কাশ্মীর প্রসঙ্গেও পাকিস্তানকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ভারতের এই কড়া অবস্থান চিনের কপালেও নতুন চিন্তার ভাঁজ তৈরি করছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। সে জন্যেই কী পাকিস্তানে গিয়ে তড়িঘড়ি বিবৃতি দিতে হল চিনকে? উঠছে সেই প্রশ্ন।

ইসলামাবাদে গিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী গ্যাং। সেই বৈঠকের ছবিও টুইটারে শেয়ার করেছেন বিলাওয়াল। ওই বৈঠকের পরই চিনা বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “চিনের তরফে জানানো হচ্ছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর বিতর্কে ইতিহাস থেকে সরে আসা উচিত। রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ, নিরাপত্তা পারিষদের রেজুলিউশন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে শান্তিপূর্ণ ভাবে এর নিষ্পত্তি করা উচিত।” যদিও পাক ও চিনের ওই যৌথ বিবৃতির পর এখনও পর্যন্ত ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে থাকা সমস্যায় চিন কেন নাক গলাচ্ছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।