Valmiki Temple: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর দখলমুক্ত লাহোরের ১২০০ বছরের পুরনো বাল্মীকি মন্দির

Lahore: লাহোরের বিখ্যাত আনারকলি বাজারের কাছেই রয়েছে বাল্মীকি মন্দির। সেই মন্দির প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো।

Valmiki Temple: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর দখলমুক্ত লাহোরের ১২০০ বছরের পুরনো বাল্মীকি মন্দির
লাহোরের বাল্মীকি মন্দির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 12:49 PM

লাহোর: অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে পাকিস্তানে থাকা হিন্দু মন্দির। পাকিস্তানের লাহোরে রয়েছে প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো মন্দির। সেই মন্দির এত দিন অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা হয়েছিল। সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা যেতে পারতেন না ওই মন্দিরে। আদালতে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ওই মন্দির পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের দ্য ইভ্যাকু ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিপিবি) বুধবার এই মন্দির পুনরুদ্ধারের কথা জানিয়েছে। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এই সংস্থা।

লাহোরের বিখ্যাত আনারকলি বাজারের কাছেই রয়েছে বাল্মীকি মন্দির। সেই মন্দির প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো। এক খ্রিস্টান পরিবার দখল করে রেখেছিলেন ওই মন্দির। ওই মন্দির এবং মন্দির সংলগ্ন এলাকা তাঁদের বলেই দাবি করতেই ওই পরিবার। যদি ওই খ্রিস্টান পরিবারের সদস্যরা দাবি করতেন, ধর্মান্তকরন করে হিন্দু হয়েছেন তাঁরা। বাল্মীকি সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ছাড়া কাউকেই সেখানে প্রবেশাধিকার দিতেন না। লাহোরে যে ২টি মন্দিরে পুজো হয়, তার মধ্যে এটি অন্ততম। এছাড়া সেখানকার কৃষ্ণ মন্দিরেও পুজো হয়। কিন্তু প্রায় দুদশক ধরে ওই মন্দির দখল করে রেখেছিলেন ওই পরিবার।

বিষয়টি নিয়ে ইটিপিবি-র মুখপাত্র আমির হাসমি বলেছেন, “আদালতের রায়ের পর দখলকারীদের থেকে উদ্ধারের পর বাল্মীকি মন্দিরে ১০০-র বেশি হিন্দু, শিখ এবং খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা এসেছিলেন। সেখানে হিন্দুরা নিজেদের পুজোর আচার পালন করেছেন।“ ইটিপিবি সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “মন্দিরের জমি ইটিপিবি-র রেভিনিউ রেকর্ডে ছিল। কিন্তু ওই পরিবার ২০১০-১১ সালে দাবি করে ওই জমির মালিক তাঁরা। এবং আদালতে মামলা করে। এবং বাল্মীকি সম্প্রদায় ছাড়া অন্য হিন্দুরের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে। তাই মামলা লড়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না আমাদের কাছে।” আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরই ওই মন্দির পুররুদ্ধার করা হয়েছে।

১৯৯২ সালে ভারতে বাবরি মন্দির ধ্বংসের পর হামলা চালানো হয়েছিল এই মন্দিরে। উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল এই মন্দিরে। এর ভিতরে থাকা মূর্তিও ভাঙচুর করা হয়েছিল। মূর্তির গায়ে থাকা গয়না লুঠ করে নেওয়া হয়েছিল।