Prince Charles: লাগবে না পাসপোর্ট-লাইসেন্স, ব্রিটেনের তিমি থেকে রাজহাঁস, সবেরই মালিক এবার তিনি…

Prince Charles: ব্রিটিশ শাসক শুধু ব্রিটেনের মানুষদের উপরেই নয়, পশুপাখিদের উপরও রাজত্ব করেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সমস্ত রাজহাঁসকেই রাজ পরিবারের অধিকার বলে মনে করা হয়।

Prince Charles: লাগবে না পাসপোর্ট-লাইসেন্স, ব্রিটেনের তিমি থেকে রাজহাঁস, সবেরই মালিক এবার তিনি...
প্রিন্স চার্লস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 2:14 PM

লন্ডন: সাত দশকের রানির শাসনে ইতি পড়েছে বৃহস্পতিবার। ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর অবর্তমানে এবার ব্রিটেনের নতুন রাজা হতে চলেছেন প্রিন্স চার্লস। ৭৩ বছর বয়সে রাজগদি পেতেই একাধিক সুবিধা পাবেন তিনি। ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, রাজা বা রানির যাতায়াতের জন্য কোনও পাসপোর্ট লাগে না। তিনি যদি গাড়ি চালাতে চান, তবে তার জন্য লাইসেন্সেরও প্রয়োজন পড়বে না। তবে সুবিধার তালিকা এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও একাধিক সুবিধা, যার মধ্যে বেশ কিছু অদ্ভুতও বটে, এমন সুবিধা পাবেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ব্রিটেনের নতুন রাজা কী কী সুবিধা পাবেন-

১. লাগবে না কোনও লাইসেন্স বা পাসপোর্ট- 

রাজা হওয়ার পর থেকেই চার্লস তৃতীয়কে বিদেশ যাত্রার জন্য কোনও পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়বে না। রাজ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিদেশ যাত্রার জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়লেও, যিনি রাজা বা রানি হন, তাদের পাসপোর্টের কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তাদের নামে কোনও নথিই থাকে না। প্রত্যেকটি নথিতেই তার বদলে হিজ মেজেস্টি শব্দটি উল্লেখ থাকবে। একই কারণে ব্রিটেনের রাজা বা রানির কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও প্রয়োজন পড়ে না।

২. দুটি জন্মদিন-   

ব্রিটেনের রাজা বা রানির দুটি জন্মদিন হয়। একটি আসল জন্মদিন, আরেকটি আনুষ্ঠানিক। চার্লসের মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দুটি জন্মদিন হত। একটি আসল জন্মদিন, যা ২১ এপ্রিল হয়, অপরটি আনুষ্ঠানিক জন্মদিন হয়, যা প্রতিবছর জুন মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার পালিত হত। জুন মাসের জন্মদিনেই আউটডোর প্যারেড হত।

একইভাবে প্রিন্স চার্লসের জন্মদিনও দু’বার পালিত হবে। প্রিন্স চার্লসের আসল জন্মদিন ১৪ নভেম্বর। মনে করা হচ্ছে, এবার তিনি কিং হয়ে গেলে আরেকটি জন্মদিন পালিত হবে। সেটা গ্রীষ্মকালের কোনও মাসে পালিত হবে বলেই জানা গিয়েছে। ওই জন্মদিনেই ব্রিটেন জুড়ে জাকজমকের সঙ্গে পালিত হবে রাজার জন্মদিন।

৩. দিতে হবে না ভোট-

ব্রিটেনের নাগরিক হলেও, রাজা বা রানি কখনও ভোট দেন না। নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকারও নেই তাঁদের। দেশের প্রধান শাসক হিসাবে তাঁকে সর্বদা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষই থাকতে হয়। সংসদের প্রথম দিনে যোগদান থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মতো প্রশাসনিক দায়িত্বগুলি সামলালেও, তিনি কোনওভাবেই রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারেন না।

৪. পাবেন হাঁস-ডলফিন-

ব্রিটিশ শাসক শুধু ব্রিটেনের মানুষদের উপরেই নয়, পশুপাখিদের উপরও রাজত্ব করেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সমস্ত রাজহাঁসকেই রাজ পরিবারের অধিকার বলে মনে করা হয়। দ্বাদশ শতাব্দী থেকেই এই নিয়ম পালন করা হচ্ছে। প্রত্যেক বছর রাজ পরিবারের সদস্যরা নিজেদের এই অধিকার প্রদর্শন করেন। থেমস নদীতে ছাড়া হয় হাঁস, তা গোনা হয় রাজ পরিবারের প্রথা মেনে। শুধু রাজহাঁসই নয়, ব্রিটেনের সমস্ত ডলফিন ও তিমি মাছকেও রাজপরিবারের অধিকার বলেই মনে করা হয়।

৫. থাকবে নিজস্ব কবি-

প্রতি ১০ বছর অন্তর ব্রিটেন রাজ পরিবার একজন কবিকে নিয়োগ করেন, যিনি শুধুমাত্র রাজার জন্যই কবিতা লেখেন। ১৭ শতাব্দী থেকেই এই নিয়ম পালন করা হচ্ছে। ২০১১ সালে রাজ পরিবারের কবি যেমন প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ের জন্য কবিতা লিখেছিলেন, তেমনই ২০১৩ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসক হিসাবে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষেও বিশেষ কবিতা লিখেছিলেন। ২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারির বিয়েতেও কবিতা লিখেছিলেন রাজপরিবারের জন্য় নিয়োগ করা বিশেষ কবি।