Taliban: অস্থিরতা বাড়াচ্ছে জালালাবাদ, ফের তালিবানের উপর জোড়া হামলা, মৃত কমপক্ষে ৫
Attack on Taliban: এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বুধবারের হামলার দায়স্বীকার না করলেও, স্থানীয়দের সন্দেহ আইসিস-খোরাসানের দিকেই। পূর্ব আফগানিস্তানের জালালাবাদেই তাদের মূল ঘাঁটি হওয়ায়, তারাই তালিবানের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে বলে সন্দেহ।
কাবুল: ফের হামলা তালিবান(Taliban)-র ওপরে। বুধবার সকালেই পূর্ব আফগানিস্তানে জোড়া হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, হামলায় মোট কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন তালিবানি যোদ্ধা ও ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। এখনও অবধি হামলার দায়স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী।
অগস্টের ১৫ তারিখ কাবুলের ক্ষমতা দখলের পরই সরকার গঠনের ঘোষণা করে তালিবান। তবে আফগানিস্তান (Afghanistan) শাসনের পথ যতটা মসৃণ হবে বলে ভেবেছিল তালিবান, তা হচ্ছে না। উদ্ধারকার্য ও সেনা প্রত্য়াহার চলাকালীনই কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলা চালায় আইসিস-খোরাসান (ISIS-Khorasan)। সেই শুরু, তারপর থেকেই একের পর এক হামলা চলছে তালিব বাহিনীর উপরে। গত সপ্তাহের পর বুধবারও ফের হামলা হল তালিবানের উপর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মোট দুটি হামলা চালানো হয়েছে। প্রথম হামলাটি জালালাবাদে একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে হয়। তালিবানিদের একটি গাড়িতে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই হামলায় দুই তালিবানি যোদ্ধা ছাড়াও গ্য়াস স্টেশনের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে ওই হামলায়।
অপর হামলাটিও জালালাবাদেই হয়। বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয় তালিবানদের একটি গাড়ি। ওই ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি, তবে তিনি তালিবানি যোদ্ধা নাকি স্থানীয় বাসিন্দা, তা জানা যায়নি।
এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বুধবারের হামলার দায়স্বীকার না করলেও, স্থানীয়দের সন্দেহ আইসিস-খোরাসানের দিকেই। পূর্ব আফগানিস্তানের জালালাবাদেই তাদের মূল ঘাঁটি হওয়ায়, তারাই তালিবানের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে বলে সন্দেহ। এর আগে গত সপ্তাহে জালালাবাদে তালিবানের উপরে যে হামলা চালানো হয়েছিল, তার দায়স্বীকার করে নিয়েছিল আইসিস-কে। সেই কারণেই এই হামলার পিছনেও তাদেরই হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরই তালিবানের নতুন শত্রু হয়ে উঠেছে আইসিস-কে। দুই জঙ্গিগোষ্ঠীই ইসলামিক আইনে বিশ্বাসী হলেও আইসিস-কে আরও চরমপন্থী। তারা আধুনিক শরিয়া আইন নয়, ইসলাম ধর্মের সূচনায় যে শরিয়া আইন ছিল, তা প্রয়োগ করতে চায়। তারা ইসলামিক আইন কেবল আফগানিস্তানেই নয়, সমগ্র এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে দিতে চায়।
আরও পড়ুন: ইউ টার্ন! ত্রাণ বোঝাই ট্রাকে পাকিস্তানি পতাকা ছিঁড়ে ‘আল্লাহ হু আকবর’ স্লোগান তালিবদের