Bangladesh: ‘ভারত খান খান হয়ে যাবে…’, হুমকি, ইসলামি রাষ্ট্র হওয়ার পথে বাংলাদেশ!

Bangladesh: মহম্মদ ইউনুস পড়ে আছেন হাসিনা বিদ্বেষ নিয়ে। আর তাঁর সামনেই চলছে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্র। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ক্রমে বাড়ছে জামাতে ইসলামি, হেফাজতে ইসলামের মতো ইসলামি দলগুলির দাপট। ভারত খান খান হয়ে যাবে বলে সরাসরি হুমকিও দিচ্ছে তারা।

Bangladesh: 'ভারত খান খান হয়ে যাবে...', হুমকি, ইসলামি রাষ্ট্র হওয়ার পথে বাংলাদেশ!
কট্টরপন্থীদের হাতে বাংলাদেশ, ঘুমোচ্ছেন ইউনুসImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Aug 30, 2024 | 12:04 PM

ঢাকা: শেখ হাসিনাকে সব দিক থেকে কোনঠাসা করাটাই যেন তাঁর লক্ষ্য। একের পর এক মামলা দায়ের হয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে করছেন একের পর এক হাসিনা-বিরোধী, আওয়ামি লিগ-বিরোধী পদক্ষেপ। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবসে জাতীয় শোক দিবস পালন আগেই বন্ধ করেছিলেন। এবার বঙ্গবন্ধুর পরিবারবর্গের বিশেষ নিরাপত্তাও বাতিল করলেন ইউনুস। আর তিনি যখন হাসিনা বিদ্বেষ নিয়ে মত্ত, সেই সময়ই চলছে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্র। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ক্রমে বাড়ছে জামাতে ইসলামি, হেফাজতে ইসলামের মতো ইসলামি দলগুলির দাপট।

চলতি বছরের ১ অগস্ট, জামাতে ইসলামি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন, ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু, এর চারদিন পরই তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্ব এবং দেশ ছাড়তে হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই ইউনুস সরকার এই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এবং তার শাখা সংগঠনের উপর থকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশি গোয়েন্দারা নাকি, তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের কোনও যোগসূত্র খুঁজে পায়নি। আর তাই ইউনুস সরকারের এই সিদ্ধান্ত।

তবে, তারও আগে গত রবিবার (২৫ অগস্ট), জামাতের কার্যালয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইসলামি নেতাদের এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, খিলাফত আন্দোলন, জামেয়া মাদানিয়ার মতো বাংলাদেশের প্রায় সকল ইসলামি সংগঠনগুলির নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেন। আর এই বৈঠকেই উঠেছে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে পুনর্গঠন করার ডাক। এই সকল ইসলামি সংগঠন ঠিক করেছে, জামাতে ইসলামির আওতাতেই তারা ভোটে অংশ নেবে। গণতান্ত্রিকভাবেই ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। জামাতের নেতৃত্বেই এটা সম্ভব বলে একমত হয়েছেন এই কট্টরপন্থী ইসলামি নেতারা।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের বরিষ্ঠ নেতা এএফএম খালিদ হোসেনও। কে এই খালিদ হোসেন? তিনি কিন্তু ইউনুস সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা। জামাতের ডাকা ওই বৈঠকে ইউনুস সরকারের ধর্ম উপদেষ্টার উপস্থিতি বলে দিচ্ছে, সরকারে এই ইসলামপন্থীদের প্রভাব বাড়ছে। সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলিও সেই কথাই বলছে। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর দেদার হামলা হচ্ছে। ভয় দেখানো, তোলাবাজি চলছে। দেখেও চোখ বন্ধ করে আছে সরকার। মুক্তি দেওয়া হচ্ছে আনসারুল্লা বাংলা টিম-এর মতো ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের। ইউনুস সংখ্যালঘুদের মাঝে গিয়ে ঐক্যর বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে কট্টরপন্থীরা।

বর্তমানে বাংলাদেশ লড়াই করছে ভয়ঙ্কর বন্যার সঙ্গে। বন্যার্তদের সহায়তার পরিবর্তে, কট্টরপন্থীরা বন্যাকে কাজে লাগিয়ে ভারত বিরোধী মনোভাবকে উসকান দিচ্ছে। বৃহস্পতিবারই জামাতে ইসলামির নেতা, নায়েব আমীর বলেছেন, “আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করার সময় ভারত হঠাৎ করে গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আমরা বলতে চাই, তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করতে চাই। আমরা ইনসাফের ভিত্তিতে, ন্যায়ের ভিত্তিতে বসবাস করতে চাই। জুলুম করলে, অত্যাচার করলে – ইতিহাস স্বাক্ষী অনেক বড় বড় রাষ্ট্র টুকরো টুকরো, খান খান হয়ে গিয়েছে। ভারতও খান খান হয়ে যাবে।’

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)