Bangladesh Durga Puja: শেষে কি না এত নীচে নামল? বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে হুমকি, পুজো করতে হলে দিতে হবে…

Bangladesh: একদিকে যেখানে এপার বাংলায় দুর্গাপুজো নিয়ে সাজো সাজো ভাব, সেখানেই ওপার বাংলায় পুজো ঘিরে আতঙ্ক, ভয়ের পরিবেশ। উদ্যোক্তাদের মনে প্রশ্ন, আদৌ দুর্গাপুজো করা যাবে তো? ঘনঘন হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের।

Bangladesh Durga Puja: শেষে কি না এত নীচে নামল? বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে হুমকি, পুজো করতে হলে দিতে হবে...
বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হবে তো?Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Sep 26, 2024 | 7:50 AM

ঢাকা: উদ্বেগ-শঙ্কা আগেই ছিল, ধীরে ধীরে তা সত্যি হচ্ছে। একদিকে যেখানে এপার বাংলায় দুর্গাপুজো নিয়ে সাজো সাজো ভাব, সেখানেই ওপার বাংলায় পুজো ঘিরে আতঙ্ক, ভয়ের পরিবেশ। উদ্যোক্তাদের মনে প্রশ্ন, আদৌ দুর্গাপুজো করা যাবে তো? ঘনঘন হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের। কার্যত তোলাবাজি চলছে। বলা হচ্ছে, টাকা না দিলে, পুজো করতে দেওয়া হবে না!

আগামী ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর দুর্গাপুজো। প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হবে। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর যেভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হামলা হয়েছে, তাতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দুর্গাপুজো কেমন হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই উদ্বেগ-প্রশ্ন ছিল। তবে ইউনূস সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে পুজো নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। গতবারের মতো যাতে দেবী প্রতিমা, মণ্ডপে হামলা না হয়, তার জন্য মণ্ডপ পাহারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। তবে ওপার বাংলার পুজো উদ্য়োক্তারা বলছেন, বাস্তব চিত্রটা অন্য।

বাংলাদেশের দুর্গাপুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, মন্দির ও পুজো কমিটিগুলিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ইসলামপন্থী সংগঠনগুলি হুমকি দিচ্ছে। ৫ লক্ষ টাকা না দিলে, পুজো করতে দেওয়া হবে বলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বারবার। একাধিক এমন হুমকি বার্তা এসেছে বলেই অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, মূলত খুলনাতেই এই ঘটনা ঘটছে। উড়ো চিঠি আসছে পুজো কমিটিগুলির কাছে। পুজোর আগেই লক্ষাধিক টাকা না দিলে, পুজো করতে দেওয়া হবে না বলেই লেখা থাকছে চিঠিগুলিতে। টাকা না দিলে, বড় মাশুলও চোকাতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে চট্টগ্রাম ও খুলনা জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ভয়ের পরিবেশে পুজোর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। পুলিশ নীরব দর্শক।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একতা কাউন্সিলের তরফে এই হুমকি ও মন্দিরের হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা না হয়, তার জন্য ৬ সদস্যের একটি নজরদারি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।