চোখের সামনে ডুবছে যাত্রীরা, তবুও পালানোর চেষ্টা! ট্রলারডুবির ঘটনায় আটক চালক সহ ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, অভিযুক্তরা পালাুনোর চেষ্টা করলেও তাঁদের আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে চালকের অসচেতনতার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা: উল্টোদিক থেকে বালি বোঝাই ট্রলার আসতে দেখেও প্রথমে গতিপথ বদল করেনি চালক। ট্রলারটি একদম কাছাকাছি চলে এলে তখন গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। সজোরে ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি। দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই চরইসলামপুর থেকে ট্রলারের চালক সহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে সাড়ে চারটে নাগাদ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশের বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে রওনা দেয় ট্রলারটি। আনন্দবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল ট্রলারটি। সন্ধে ছ’টা নাগাদ মাঝনদীতেই লইসকা বিল এলাকায় বালি বোঝাই অপর একটি ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে যাত্রীবাহী ট্রলারটির। ধীরে ধীরে ডুবে যায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি।
বেশ কিছুজন সাঁতার কেটে পাড়ে চলে আসতে পারলেও অনেকেই সাঁতার জানতেন না এবং তাঁদের কাছে লাইফ জ্যাকেটও ছিল না। ফলে নদীর জলেই সলিল সমাধি হয় তাঁদের। এ দিকে, মাঝনদীতে বিপর্যয় দেখতে পেয়েই যাত্রীদের উদ্ধারে নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও নামানো হয়। গতকাল রাত অবধি মোট ২১ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এ দিন সকালে আরও একটি দেহ উদ্ধার হয়। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আহতদের স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ-প্রসাসনের আধিকারিকরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনেক যাত্রীকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দলও নামানো হয়েছে তল্লাশি চালাতে। আপাতত নদীতে সমস্ত ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘কাজে যোগ দিন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা’, ‘উদার’ তালিবানি ফতেয়ার নেপথ্যে কারণ কী?