নমাজের সময়ই কীর্তন গাওয়া ঘিরে বচসা, রাতের অন্ধকারে ৪ মন্দিরের ১০টি বিগ্রহ ভাঙল দুষ্কৃতীরা
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রথমে দুষ্কৃতীরা শিয়ালী মহাশ্মশান মন্দিরে হামলা চালায়। সেখানে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ ও শ্মশানঘাটে ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা শিয়ালী পূর্বপাড়ায় যায়। সেখানে হরি মন্দির, দুর্গা মন্দির ও গোবিন্দ মন্দিরে ঢুকে বিগ্রহগুলি ভেঙে দেয়।
ঢাকা: পাকিস্তানের পর এ বার বাংলাদেশ। একটি নয়, এক রাতেই পরপর চারটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়াতেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাংলাদেশের খুলনা জেলার শিয়ালী গ্রামে এক দল দুষ্কৃতী সংখ্যালঘু হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িতে হামলা চালায়। শুক্রবার রাতে ওই এলাকার হিন্দু ও মুসলিম বাসিন্দাদের মধ্যে বাদানুবাদের পরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রথমে দুষ্কৃতীরা শিয়ালী মহাশ্মশান মন্দিরে হামলা চালায়। সেখানে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ ও শ্মশানঘাটে ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা শিয়ালী পূর্বপাড়ায় যায়। সেখানে হরি মন্দির, দুর্গা মন্দির ও গোবিন্দ মন্দিরে ঢুকে বিগ্রহগুলি ভেঙে দেয়।
এছাড়াও হিন্দু ধর্মাবলম্বী স্থানীয় বাসিন্দাদের দুটি ঘর ও ছয়টি দোকানে ভাঙচুর করা হয়। রুপসা উপজেলা পূজা উদযীপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন জানান, চারটি মন্দির মিলিয়ে ১০টি বিগ্রহ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তবে স্থানীয় প্রশাসন যথাসম্ভব চেষ্টা করছে।
কারা হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে জানা না গেলেও আশেপাশের শেখপাড়া, বামনডাঙ্গা ও চাদপুর এলাকার বাসিন্দারাই জড়িত বলে সন্দেহ। ওই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম জানান, নমাজের সময়ই ওই রাস্তা দিয়ে কয়েকজন কীর্তন গাইতে গাইতে মহাশ্মশানে যাচ্ছিলেন। নমাজে বাধা পড়াকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এরমধ্যে কেউ একজন তাঁকে ধাক্কা দিতেই বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আরও পড়ুন: ফুঁসবে সমুদ্র, দাবদাহে পুড়বে বিশ্ব! ‘ভয়ঙ্কর’ ভবিষ্যতের জন্য মানুষকেই দায়ী করল রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট