Bangladesh Fire : ২৮ টি কনটেইনারে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দমকল আধিকারিকের

Bangladesh Fire : তিনদিন পর অবশেষে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এল বাংলাদেশের কনটেইনার ডিপোর আগুন। ২৮ টি কনটেইনারে এখনও থেমে থেমে জ্বলছে আগুন। তবে আর ভয়াবহ কোনও বিস্ফোরণের আশঙ্কা নেই বলে জানা গিয়েছে।

Bangladesh Fire : ২৮ টি কনটেইনারে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দমকল আধিকারিকের
ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 12:54 PM

ঢাকা : তিনদিন পর অবশেষে মঙ্গলবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এল আগুন। তবে এখনও ২৮ টি কনটেইনারে থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। তবে পরবর্তী ভয়াবহ কোনও বিস্ফোরণের আর ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে দমকল আধিকারিক। শনিবার রাতে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। তারপর থেকেই দাউদাউ করে জ্বলছে এই ডিপো। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪৯ জন। মৃতদের মধ্যে ৯ জন দমকলকর্মীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পরও ডিপোতে থেমে থেমে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। অবশেষে দমকল কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা আগুন নেভাতে সাহায্য় করেছে।

এদিন সকালেও এই সীতাকুণ্ডের এই ডিপোতে থেমে থেমে জ্বলছিল আগুন। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, ২৮ টি কনটেইনারে তারা এদিন সকালেও জল দিয়ে যাচ্ছেন। এই ২৮ টি কনটেইনারের মধ্যে কোনওটিতে রাসায়নিক পদার্থও ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে কী রাসায়নিক তা এখনও চিহ্নিত করা হয়নি। সংবাদ সংস্থাকে বর্ষীয়ান দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আগুন পুরোপুরি নেভানো যায়নি কিন্তু পরবর্তী বিস্ফোরণের কোনও ঝুঁকি নেই। কারণ আমাদের কর্মীরা একে একে রাসায়নিক কনটেইনারগুলিকে আলাদা করে দিয়েছে।’ এদিকে ডিপো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। দমকল আধিকারিক বলেছেন, ‘আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা এখানে কোনও প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে পাইনি। এখানে কেবলমাত্র কিছু অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল। আর কিছু নয়। বিপজ্জনক রাসায়নিক সংরক্ষণের জন্য তাঁরা কোনও সংরক্ষণ নির্দেশিকা মেনে চলেননি।’ এই বিষয়ে বিএম কনটেইনার ডিপোর ডিরেক্টরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিকদার গতকাল জানিয়েছিলেন, বিএম কনটেইনার ডিপো কোনওরকম দুর্ঘটনা ছাড়াই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নিয়ে নিয়মিত কাজ করেছে। তিনি জানিয়েছেন যে যতদূর জানেন সবরকম নির্দেশিকা অনুসরণ করেই এই কোম্পানি কাজ করে। ইতিমধ্য়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

ভয়াবহ সেই রাতের কথা কল্পনাই করতে পারছেন না সীতাকুণ্ডের বাসিন্দারা। এই বিধ্বংসী আগুন প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৪৯ জনের। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন একাধিক মানুষ। শনিবার রাত ৯ টা নাগাদ সীতাকুণ্ডের এই কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। তারপর ফের রাত ১১ টা নাগাদ একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এই ডিপো থেকে। তারপর দাউদাউ করে আগুন ছড়়িয়ে পড়ে। সেই বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশেপাশের এলাকার ঘরবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছিল। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি শোকগ্রস্ত পরিবারগুলির সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সাহায্য়ের নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা।