Bangladesh: হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের জালে আরও এক
এই ঘটনায় গ্রেফতার এখন পর্যন্ত পাঁচজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
ঢাকা: গত কয়েকদিন আগে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রান্তদের ঘটনায় উত্তাল হয় বাংলাদেশ। দুর্গা মন্ডপ ভাঙচুর থেকে ঘটনার সূত্রপাত হলেও পরে বৃহৎ আকার নেয়। হামলা হয় ইস্কনের ওপরেও। প্রশ্নের মুখে পড়ে সে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা। যদিও এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় শেখ হাসিনা সরকারকে। ঘটনায় কড়া হাতে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। আর এরপরেই ব্যাপক ভাবে ধরপাকড় শুরু করা হয়।
এই ঘটনায় সিসিটিভি দেখে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। শুধু তাই নয়, ফেনীতে মন্দির ও দোকানপাটে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। ধৃত ওই ব্যাক্তি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর নাম নুরুন্নবী সোহাগ (২০) বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বুধবার বিকেলে অভিযুক্ত ওই যুবককে ফেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। সেখানেই গোপন জবান বন্দি দেয় সে।
জানা গিয়েছে, নুরুন্নবী সোহাগের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকার পূর্ব শিলুয়া গ্রামে। এই ঘটনায় গ্রেফতার এখন পর্যন্ত পাঁচজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। আর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ২৪ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নুরুন্নবী সোহাগকে ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়ার তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। গোটা পরিবারকে নিয়েই ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়ায় বসবাস করেন ওই যুবক।
১৬ অক্টোবর ফেনীতে মন্দির ও দোকানে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার একাধিক অভিযুক্তকে জেরা করে সোহাগের নাম জানতে পারে পুলিশ। আর এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিক হুমায়ুন কবির বলেন, ১৬ অক্টোবর রাতে ফেনীতে মন্দির, আশ্রম ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুরসহ যেসব তাণ্ডব ঘটেছে, সিআইডি পুলিশ তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও চিত্র দেখে, সেগুলো যাচাই করছে। শুধু তাই নয়, ধৃত ব্যক্তিদের দফায় দফায় জেরা করেও আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পিছনে কি কারণ তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাথমিক ধারণা এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আর সেইউ ষড়যন্ত্রের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন এই মুহূর্তে বাংলাদেশ গোয়েন্দা আধিকারিকরা।